পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি গতকাল শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক পরিদর্শন করেছেন। এ সময় মন্ত্রী পার্কে আগত পর্যটক-দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ প্রদান করেছেন সংশ্লিষ্টদের। একইসাথে সাফারি পার্কের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ সার্বিক বিষয়ে দিক-নির্দেশনাও প্রদান করেন। পরিদর্শনকালে মন্ত্রী বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর বেষ্টনী এবং ছায়া-সুনিবিড় পরিবেশের পার্কের দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। হরিণ বেষ্টনীতে কিছু সময় কাটান এবং এ সময় একটি হরিণকে নিজ হাতে খাবারও খাওয়ান মন্ত্রী। এর আগে সকালে মন্ত্রী কক্সবাজার থেকে সড়কপথে রওনা দিয়ে প্রথম যান চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানে। তিনি সেখানে কিছুসময় ব্যয় করেন এবং জাতীয় উদ্যানের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা গগণচুম্বি মাদার ট্রি (গর্জন) দেখে বিমোহিত হন। এই তথ্য নিশ্চিত করেন পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
এ সময় জাফর আলম এমপি মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রস্তাব রাখেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামের এই সাফারি পার্কটিকে বিশ্বমানের সাফারি পার্ক হিসেবে গড়ে তুলতে। প্রত্যুত্তরে মন্ত্রী বলেন, অবশ্যই এই পার্ককে আর্ন্তজাতিকমানের সাফারি পার্ক হিসেবে রূপান্তরিত করা হবে। এজন্য মাস্টারপ্লানের আওতায় নিয়ে এসে পার্কের সবকিছু ঢেলে সাজানো হবে এবং ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করাসহ যাবতীয় কাজ শুরু করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কর্নার পরিদর্শন ঃ এর পর সাফারি পার্ক থেকে মন্ত্রী পরিদর্শনে আসেন চকরিয়া কমপ্লেঙের চতুর্থ তলায় স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কর্নার’। পরিদর্শনের সময় ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কর্নার’ স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের জীবনচিত্র, বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশগুলোসহ বিভিন্ন স্পট দেখে ভূঁয়সী প্রশংসা করেন এবং এই কর্নার নতুন প্রজন্মকে প্রকৃত ইতিহাস জানতে সহায়তা করবে বলে পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখেন।
এ সময় আরো ছিলেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জিয়াউল হাসান, প্রধান বনসংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বনসংরক্ষক আবদুল আউয়াল সরকার, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব কবিরুজ্জামান চৌধুরী, চট্টগ্রাম, কঙবাজার ও বান্দরবান বন ডিভিশনের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও) যথাক্রমে এস এম গোলাম মওলা, আবু নাছের মো. ইয়াছিন নেওয়াজ, হুমায়ুন কবির, তৌহিদুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরী, মোহাম্মদ কাইছার, মো. কবির উদ্দিন, সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী প্রমূখ।