আনোয়ারায় গত ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাঘখাইন এলাকায় নির্মিত স্লুইচ গেটটি তলিয়ে যায়। ফলে দক্ষিণ বাঘখাইন মোল্লাপাড়া গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বর্তমানে নৌকা দিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করছে এ এলাকার মানুষ। স্লুইচগেট খোলা থাকার কারণে কেঁয়াগড়, ইছামতি, সিংহরা ও চাতরি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় জোয়ারের পানি উঠানামার ফলে জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে স্থানীয়দের দুর্ভোগের শেষ নেই। যার ফলে এ এলাকার ২ হাজারেরও বেশি একর জমির চাষাবাদ ও রবি শস্য উৎপাদন হুমকিতে পড়েছে।
বাঘখাইন মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা অজিত বিশ্বাস জানায়, গত দুই বছর ধরে স্লুইচ গেট জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গিয়ে মোল্লাপাড়ার দুই শত পরিবার উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যার কারণে আমাদের নৌকা দিয়ে অনেক কষ্ট আর ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। মোল্লাপাড়ায় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় এলাকার ছেলে মেয়েদের পড়া লেখাও হুমকিতে পড়েছে। সিংহরা গ্রামের বাসিন্দা মো. রেজাউল করিম জানায়, স্লুইচ গেট তলিয়ে গিয়ে গত দুই বছর ধরে জোয়ারের পানি উঠানামা করছে। ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে আর চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। মোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ শিকলবাহা খালের দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারায় তাদের বসবাস হলেও ভৌগলিক কারণে তারা পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা হওয়ায় প্রশাসনিকভাবে তারা সুবিধা বঞ্চিত।
আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী জানান, স্লুইচগেট তলিয়ে যাওয়ায় চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় স্লুইচগেট নির্মিত না হলে আগামী রবি মৌসুম ও বোরো হুমকিতে পড়বে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানায়, বাঘখাইনের স্লুইচ গেটটি একটি আলাদা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে পটিয়া উপজেলার সাথে সংযুক্ত করে করার চিন্তা ভাবনা চলছে। বর্তমানে স্লুইচ গেটটি পুর্ননির্মাণ করতে হলে ২০ থেকে ২২ কোটি টাকার প্রয়োজন। আর চট্টগ্রাম জেলার বাৎসরিক উন্নয়ন বরাদ্দ হচ্ছে ২৭ কোটি টাকা। এ বরাদ্দ থেকে এটি করা সম্ভব নয়। ফলে এটি করতে নতুন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্ভব হয়নি।