আনোয়ারায় একটি প্রাইভেট মাদ্রাসার শিক্ষকের কক্ষ থেকে মুহাম্মদ ওমাইর (১০) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় উপজেলার বারশত ইউনিয়নের কালিবাড়ি এলাকায় দারুত তাহফিজ বালক-বালিকা মডেল মাদ্রাসা নামের একটি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
শিশু ওমাইর উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের আইরমঙ্গল মাইজপাড়া মোহাম্মদ ছৈয়দের ছেলে। সে ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। ঘটনার পর বিকাল তিনটায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চারতলা বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা ভাড়া নিয়ে তিনজন হুজুর বালক-বালিকা নাম দিয়ে মাদ্রাসাটিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। দ্বিতীয় তলায় বালিকা তৃতীয় তলায় বালক শিক্ষার্থীরা রয়েছে।
মাদ্রসা পরিচালক হাফেজ আবদুর রহমান বলেন, মাদ্রাসাটিতে ৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিশু ওমাইর নাজারা বিভাগের ছাত্র। সে আমার আপন বোনের ছেলে।
এক সপ্তাহ আগে সে এখানে ভর্তি হয়, সকালে সে সবার সাথে নাস্তাও করেছে, এরপর ১০ টার দিকে মাদ্রাসার শিক্ষকের কক্ষের জানালার সাথে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। এ সময় ওই কক্ষে কেউ ছিলনা, পরে আমি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পুলিশকে খবর দিয়।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বারশত ইউনিয়নের একটি প্রাইভেট মাদ্রাসা থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটি আত্মহত্যা করেছে। মাদ্রাসা থেকে সিসিটিভির একটি ভিডিও ফোটেজও পাওয়া গেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হল। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।