আনোয়ারায় ব্যাটারিচালিত রিকশায় চার্জ দেওয়ার সময় শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুনে একই পরিবারের ৩ শিশুসহ ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় ১৮টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি প্রায় ৬০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
গত রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১টায় উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর পরুয়াপাড়ার বড় হুজুরের বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইসহাক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অগ্নিকাণ্ডে আহতরা হলেন মো. জামাল (৪৫), মো. হেলাল (৩৫), নিহা (১৩), হাসান (১০) ও তানিয়া (৫)। এছাড়া আগুনে মোহাম্মদ জামাল, মো. হেলাল, আবুল কালাম, আবুল কাশেম, আজগর আলী, আমজাদ হোসেন, মো. আনোয়ার, আব্দুস সাত্তার, মো. মামুন, মোহাম্মদ আনিস, কাইয়ুম, মোহাম্মদ সেলিম, মোহাম্মদ জসিম, নুরুল হক, আব্দুল হক, জাহানারা বেগম, আব্দুস সালাম ও মোহাম্মদ ইউছুপের বসতঘর পুড়ে যায়।
ইউপি সদস্য মো. ইসহাক জানান, রোববার রাত সোয়া ১টার দিকে মো. জামালের ঘরের দরজায় একটি বৈদ্যুতিক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চার্জ দেওয়ার সময় বৈদ্যুুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে বড় হুজুরের বাড়িতে ১৮টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন লাগার সময় মধ্যরাতে সবাই ঘুমিয়ে থাকার কারণে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়। ঘটনার খবর পেয়ে আনোয়ারার ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিভাতে এগিয়ে এলেও তার আগে ১৮টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় একই পরিবারের ৩ শিশুসহ ৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আহতদের মধ্যে মোহাম্মদ হেলাল এবং মোহাম্মদ জামালের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত আবুল কাশেম জানান, অগ্নিকাণ্ডে আমাদের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কোনো রকমে প্রাণ নিয়ে ঘর থেকে বের হতে পেরেছি।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন শরীফ, চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুুম শাহ, চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তারা ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ, শীতবস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্তরা স্থানীয় ও আত্মীয়–স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।