রেলওয়ের গার্ড গ্রেড (২) নিয়োগ সংক্রান্ত আদালতের নির্দেশনা না মানায় রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকসহ (জিএম) পাঁচ রেল কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (১) আদালত। এই পাঁচ কর্মকর্তাকে আগামী ৪ আগস্ট সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
রেলের কর্মকর্তারা হলেন, মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, এডিজি (ওপি) সরদার শাহাদাত আলী, এডিজি (এম অ্যান্ড সিপি) আবদুল্লাহ আল বাকি, পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন ও স্টেশন মাস্টার জাফর আহমেদ।
জানা গেছে, ১৯৮৫ সালের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী স্থায়ী চাকরিরত ৪০ জন গার্ডকে সরকারি খরচে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা পদোন্নতির অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু ২০২০ সালের নতুন চাকরিবিধি অনুযায়ী তাদের পদোন্নতি বন্ধ রাখে রেলওয়ে। এরপর গার্ড (২) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে স্থায়ী গার্ডদের পক্ষে গত ১৫ জুন গার্ড (২) নিয়োগের পরীক্ষা স্থগিত আদেশ চেয়ে ঢাকা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ১ম দায়রা জজ শেখ ফারুক হোসেনের আদালতে আব্দুল কাইয়ূম বাদী হয়ে মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পরীক্ষা স্থগিত করেন। পরবর্তীতে রেলের আইনজীবী আদালতকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণের বিষয়টি জানালে ১৭ জুন পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিলেও মামলার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো নিয়োগ না দেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
কিন্তু আদালতের এই আদেশ অমান্য করে রেলওয়ে ৯ জনকে গার্ড পদে কাজের অনুমতি দেয়। বিষয়টি মামলার বাদী আব্দুল কাইয়ূম তাদের আইনজীবীর নজরে আনলে তিনি অবমাননার বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন। এই ব্যাপারে মামলার বাদী আব্দুল কাইয়ূম বলেন, আদালতে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রেলওয়ের চট্টগ্রামে ৯ জন অস্থায়ী গার্ডকে কাজ করার অনুমতি দেয়। যা আদালত অবমাননার সামিল।