দীর্ঘদিন যাবত মানসিক নির্যাতন ও হয়রানি করে ফেনী জেলার সোনাগাজী সদর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বিপ্লবকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার এজাহারনামীয় প্রধান দুই আসামী আলী মর্তুজা ও করিমুল হককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব–৭, চট্টগ্রাম।
র্যাব–৭, চট্টগ্রামের মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারি পরিচালক নূরুল আবছার জানান, ভিকটিম মকছুদ আলম বিপ্লব (৩৭) ফেনী জেলার সোনাগাজী এলাকায় বসবাস করতেন। ৫ম পৃষ্ঠার ৪র্থ কলাম
আসামী আলী মর্তুজা এবং মো. করিমুল হকের সাথে বিপ্লবের সাথে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত বিরোধের জের ধরে আসামীরা বিপ্লবকে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করে আসছিল। বিপ্লব বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করেন। কিন্তু আসামীগণ বিপ্লবকে হয়রানি অব্যাহত রাখে। আসামীদের দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলায় আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিতে দিতে বিপ্লব আর্থিক এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। অনবরত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত এ হয়রানি সহ্য করতে না পেরে গত ৮ মার্চ তিনি আত্মহত্যা করেন। উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের আইডি থেকে বিপ্লব নিজের ভিডিওতে বর্ণিত আসামীদের হয়রানি করার বিষয়টি প্রকাশ করে গেছেন মৃত্যুর আগে। মূলত মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনে হতাশাগ্রস্ত হয়ে বিপ্লব আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এ ঘটনায় বিপ্লবের স্ত্রী বাদী হয়ে চারজনকে এজাহারভুক্ত এবং অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামী করে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন।
র্যাব–৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এজাহারনামীয় ৩নং আসামী আলী মর্তুজাকে কুমিল্লা পদুয়ার বাজার থেকে গত ২০ মার্চ সন্ধ্যা সাতটায় গ্রেপ্তার করে। পরে তার তথ্য মতে ঢাকার হাইকোর্ট এলাকা থেকে ২০ মার্চ গভীর রাতে এজাহারনামীয় ৪নং আসামী মোঃ করিমুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।