গরিবের মামলার ব্যয়, বাংলাদেশ সরকার দেয়। আর্থিক ভাবে অসচ্চল, সহায় সম্বলহীন এবং নানাবিদ আর্থ–সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার ২০০০ সালে আইগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০ প্রণয়ন করে। ওই আইনের আওতায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা, জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমের প্রসারকল্পে সরকার তথা জাতীয় সংস্থা আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সরকারের মহৎ উদ্যোগ বাস্তবায়নে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে অসহায়, দরিদ্র, নির্যাতিত বিচারপ্রার্থী মানুষের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। গতকাল জেলা লিগ্যাল এইড অফিস চট্টগ্রাম আয়োজিত লিগ্যাল এইড উপকারভোগীদের (আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের) অংশগ্রহণে সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল এসব কথা বলেন। লিগ্যাল এইড সহকারী মোহাম্মদ এরশাদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উপকারভোগীদের সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লিগ্যাল এইড প্যানেল আইনজীবী মুজিবুর রহমান খান, এ এফ এম সালাহ উদ্দিন ও জাফর ইকবাল।
লিগ্যাল এইড অফিস জানায়, সভায় বিগত ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যথাক্রমে ৪৩জন, ৯৬ জন ও ৩৪জন আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের সরকারের আইনি সহায়তার প্র্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস চট্টগ্রামের মাধ্যমে আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জলসদস্যুদর পক্ষে সরকারি খরচে মামলাগুলো পরিচালনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল। সভায় অন্যান্যের মধ্যে কমিটির প্যানেল আইনজীবী, সাংবাদিক, লিগ্যাল এইড অফিসের উপকারভোগী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।