আত্মশুদ্ধি মানব জীবনের অপরিহার্য বিষয়। মানুষের ইহকাল ও পরকালের সফলতা আত্মশুদ্ধির উপরেই নির্ভরশীল। আত্মশুদ্ধি হলো নিজেকে সংশোধন করা বা পরিশুদ্ধ করাকে বুঝানো হয়। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে দেহ ও মনের সমন্বয়ে সৃষ্টি করেছেন। দেহের বিচরণক্ষেত্র হলো সীমিত কিন্তু আত্মার বিচরণক্ষেত্র অসীম। মানবদেহকে সুস্থ রাখার জন্য যেভাবে নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন তেমনি আত্মাকে পবিত্র রাখার জন্য নিয়মিত পরিচর্যার প্রয়োজন। আত্মা হলো আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে একটি নির্দেশ মাত্র। আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আত্মাকে পবিত্র রাখবে সেই সফলকাম হবে, আর সে ব্যক্তিই ব্যর্থ হবে যে নিজেকে কলুষিত করবে। (সূরা আস– সামস: ৯–১০) ঈমানদারের ঈমান তার অভ্যন্তরীণ বিষয়ের সংশোধন এবং অন্তরের পবিত্রতা ব্যতীত পরিপূর্ণ হতে পারে না। রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বান্দার অন্তর সঠিক ও সোজা না হওয়া পর্যন্ত তার ঈমান খাঁটি হবে না। (মুসনাদে আহমদ ১৩০৭৯, আত–তারগিব ২৫৫৪) তাই বান্দার অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং অন্তর যদি নষ্ট ও কুৎসিত হয় তাহলে বাহ্যিক সৌন্দর্য ও শ্রেষ্ঠত্ব কোনো উপকারে আসবে না। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এই ধরনের লোকদের নিন্দা করে বলেন, আর তাদের আগে আমরা বহু মানবগোষ্ঠীকে বিনাশ করেছি, যারা তাদের চেয়ে সম্পদ ও বাহ্যদৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠ ছিল। (সূরা মারইয়াম–৭৪) আল্লামা ইবনে রাজাব হাম্বলী (রহ.) বলেন, অধিক পরিমাণে শারীরিক ইবাদত বা আমলের উপর শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা নির্ভর করে না। বরং মর্যাদা নির্ভর করে আল্লাহর জন্য খাঁটি ও বিশুদ্ধ নিয়ত, সুন্নাতের অনুসরণ, অন্তরের পরিচর্যা এবং তার আমলের মাধ্যমে।
আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার অর্থ হল, সব ধরনের পাপাচার ও কলুষতা থেকে মুক্ত করা। পাপচিন্তা, পাপ–ইচ্ছা ও পাপাচারী মানসিকতা থেকে রক্ষা করা, প্রবৃত্তি ও রিপুশক্তির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। মনের সকল চাহিদা ও ইচ্ছাকে আকল ও বিবেকের অনুগামী করা। রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, জেনে রাখ, নিশ্চয় দেহে একটি মাংস পিণ্ড আছে। সেটি যখন ঠিক হয়ে যায়, পুরো দেহ ঠিক হয়ে যায়। আর যখন সেটি নষ্ট হয়ে যায়, পুরো দেহই নষ্ট হয়ে যায়। জেনে রাখ, সেই মাংস পিণ্ডটি হল কলব। (সহিহ বুখারি –৫২)
আত্মাকে বিনষ্ট করার অর্থ হল, বিভিন্ন প্রকারের অশ্লীল ও মন্দকাজে লিপ্ত হয়ে নিজের চিন্তা, কর্ম ও মন–মানসিকতাকে পাপাচ্ছন্ন করে ফেলা। মনের সকল ইচ্ছা ও কামনা–বাসনাকে অনুসরণ করে প্রবৃত্তিকে শক্তিশালী করা। আল্লাহ তায়ালা কারো বক্ষে দু‘টি আত্মা সৃষ্টি করেননি–যে একটি হবে মানুষের নিজের জন্য আর অপরটি হবে আল্লাহর জন্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহ কোন মানুষের অভ্যন্তরে দু’টি হৃদয় সৃষ্টি করেননি। (সূরা আহযাব–৪) বরং আত্মা একটিই এবং এটির মালিক স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা। একটি নিষ্কলুষ আত্মা পৃথিবীর যাবতীয় ধনসম্পদ ও মনি–মানিক্যের চাইতে উত্তম। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘কিয়ামতের দিন ধন–সম্পদ কোন কাজে আসবে না এবং সন্তান–সন্ততিও না। কেবল (সাফল্য লাভ করবে) সে ব্যক্তি যে বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে আল্লাহর নিকট আসবে। (সূরা শুয়ারা:৮৮–৮৯)
মানবীয় আত্মার কুপ্রবৃত্তি ধ্বংস করে সুপ্রবৃত্তি জাগ্রত করার জন্য গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী হযরত মওলানা শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) সহজসাধ্য মাধ্যম হিসেবে সপ্ত–পদ্ধতির প্রবর্তন করেন। এর মূল উদ্দেশ্য হল রেজায়ে মওলা ও কুরবতে এলাহী অর্জন করা। সপ্ত–পদ্ধতি দুই স্তরে অনুশীলিত হয়। প্রথম অংশ হলো ফানায়ে ছালাছা বা রিপুর ত্রিবিধ বিনাশ স্তর। দ্বিতীয় অংশ হলো মউতে আর’বা বা প্রবৃত্তির চতুর্বিধ মৃত্যু।
‘ফানা‘ আরবি শব্দ এর অর্থ হল বিনাশ। ফানা এর বিপরীত শব্দ হলো ‘বাকা‘ বা স্থায়িত্ব। সমগ্র সৃষ্টি জগত ধ্বংসশীল। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ভূপৃষ্ঠের উপরস্থিত যা কিছু আছে এর প্রত্যেকটি ধ্বংসশীল, একমাত্র আপনার মহিমাময় ও প্রতাপমন্ডিত প্রভুর মহান সত্তা ছাড়া। তিনিই অবশিষ্ট থাকবেন। (সূরা আর রাহমান : ২৬–২৭)। অপর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, তাঁর চেহারা, সত্তা ব্যতীত সবকিছুই ধ্বংসশীল। (সূরা আল কাসাস : ৮৮)
হযরত দাতা গঞ্জে বখশ (রহ.) বলেন, এই জগতের সৃষ্টি হয়েছে শূন্য থেকে আর এক সময় তার ধ্বংস হয়ে শূন্যেই মিলিয়ে যাবে। সৃষ্টি জগতের আদি ও অন্ত শূন্য থেকেই। যা এই দুই অবস্থার মধ্যবর্তী, তাই অবিনশ্বর। অস্তিত্বের স্থায়িত্বের নাম অবিনশ্বরতা। জগতের সমূদয় জ্ঞানভাণ্ডার নশ্বর আর যা স্থায়ী তা পরকালীন জীবনের সাথে সম্পৃক্ত জ্ঞান। এ কারণে আল্লাহর অলিগণ অবিনশ্বরতা ও নশ্বরতার জ্ঞানকে বেলায়েতের একটি পূর্ণতার স্তর হিসেবে গণ্য করেন। (কাশফুল মহাজুব)।
ফানায়ে ছালাছা হলো:
১। ফানা আনিল খালক : পরমুখাপেক্ষীতা বর্জন করে আত্মচিন্তা ও আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করা। আসমান জমিনের মধ্যখানে যা কিছু আছে এর সকল কিছুই আল্লাহর মুখাপেক্ষী। আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে মানুষ, তোমরা আল্লাহর মুখাপেক্ষী, আর আল্লাহ, তিনিই অভাবমুক্ত, প্রশংসিত। (সূরা ফাতির ১৫) তিনি এমন অমুখাপেক্ষী ও অভাবমুক্ত যে, যদি সারা দুনিয়ার মানুষ তাঁর অবাধ্য হয়ে যায়, তাহলে তাঁর কোনো ক্ষতি হবে না। আর যদি সবাই তাঁর অনুগত হয়ে যায়, তাহলেও তাঁর শক্তিতে কোনো বৃদ্ধি হবে না। বরং অবাধ্যতা করলে মানুষ নিজেরই ক্ষতি করবে এবং ইবাদত ও আনুগত্য করলে মানুষ নিজের উপকার করবে। রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে আমার বান্দাগণ, যদি তোমাদের আগের ও পরের সব মানুষ ও জিন একত্র হয়ে তাকওয়ার চরম পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে একজনের অন্তরে পরিণত হও তবুও তা আমার রাজত্বের সামান্যতম কিছুও বৃদ্ধি করবে না। হে আমার বান্দাগণ, যদি তোমাদের আগের ও পরের সব মানুষ ও জিন একত্র হয়ে অন্যায়ের দিক থেকে একজনের অন্তরে পরিণত হও তবুও তা আমার রাজত্বের সামান্যতম অংশও কমাতে পারবে না। (মুসলিম – ২৫৭৭)।
২। ফানা আনিল হাওয়া : অনর্থক কাজকর্ম ও কথাবার্তা যেমন গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা, কূধারণা ইত্যাদি হতে বিরত থাকা। অনেক সময় শুধু মুখের কথার কারণেই মানুষকে অনেক বড় বিপদের মুখোমুখি হতে হয়। কখনো কখনো একটি কথা সারা জীবনের দুঃখের কারণ হতে পারে। মানুষের উচিত অনর্থক কথাবার্তা ও কাজকর্ম ত্যাগ করা। অনুরূপভাবে অহেতুক গল্প– গুজবে সময় নষ্ট করা, অপচয় ও অপব্যয় থেকে দূরে থাকা আবশ্যক। মুমিন জীবনে সফলতা লাভের উপায় সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর যারা অসার কর্মকাণ্ড থেকে বিমুখ। (সূরা আল মুমিনুন–৩) অনর্থক কথা–কাজ মুমিনের জন্য শোভনীয় নয়। কারণ জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের জন্য আল্লাহ তায়ালার দরবারে জবাবদিহি করতে হবে। রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো ব্যক্তির ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য হলো অর্থহীন কথা বা কাজ ত্যাগ করা। (তিরমিজি–২৩১৮)
৩। ফানা আনিল এরাদা : নিজ ইচ্ছা বাসনাকে আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় বিলীন করে রেজায়ে মাওলা অর্জন করা। পৃথিবীতে সকল কিছু আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা অনুসারে পরিচালিত হয়। আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা ব্যতিরেকে কোন মানুষের সমর্থ্য নাই যে হেদায়েতের পথে প্রতিষ্ঠিত থাকবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর তোমরা ইচ্ছে করতে সক্ষম হবে না যদি না আল্লাহ ইচ্ছে করেন। নিশ্চয় আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (সূরা দাহর–৩০) যে বান্দা নিজের সকল কার্যক্রমে আল্লাহর ইচ্ছা শক্তিকে প্রাধান্য দিতে পারবেন তিনি আল্লাহর কাছে সর্বাধিক মর্যাদান। আল্লাহর নেককার বান্দাগণের সুহবতে সাধারণ মানুষও আল্লাহর নৈকট্য লাভে ধন্য হন। রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা মুমিন বান্দাদের অন্তর্দৃষ্টিকে ভয় কর, কারণ তারা আল্লাহর নূরের মাধ্যমে দেখতে পান। (তিরমিজি–৩১২৭)
দ্বিতীয় অংশ মউতে আর’বা বা প্রবত্তির চতুর্বিধ মৃত্যু : ১। মউতে আবয়াজ বা সাদা মৃত্যু : উপবাস ও সংযমের মাধ্যমে অর্জিত এই মৃত্যুতে মানব মনে উজ্জ্বলতা তৈরি করে। রমজান মাসের সিয়াম সাধনার মাধ্যমে এটি সহজেই অর্জিত হয়। কারণ সাওম এর আভিধানিক অর্থ হলো বিরত থাকা। হাদীস শরীফের মধ্যে রোজা পালন করাকে ঢাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। রমজানের সিয়াম সাধনা মানুষের লোভ–লালসা, হিংসা–বিদ্বেষ ও ক্রোধের বশবর্তী হয়ে মন্দ কাজে লিপ্ত হওয়া থেকে মুক্ত থাকতে শিখাই।
২। মউতে আছওয়াদ বা কালো মৃত্যু : কারো সমালোচনায় রাগান্বিত না হয়ে আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজকে সংশোধনের মনমানসিকতা অর্জনই কালো মৃত্যু। নিজে নিজে আত্মসমালোচনার গুরুত্ব সম্পর্কে হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) বলেন, তোমরা নিজেদের আমলনামার হিসাব নিজেরাই গ্রহণ কর, চূড়ান্ত হিসাব দিবসে তোমাদের কাছ থেকে হিসাব গৃহীত হবার পূর্বেই। আর তোমরা তোমাদের আমলনামা মেপে নাও চূড়ান্ত দিনে মাপ করার পূর্বেই। কেননা আজকের দিনে নিজের হিসাব নিজেই গ্রহণ করতে পারলে আগামীদিনের চূড়ান্ত মুহূর্তে তা তোমাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে। তাই সেই মহাপ্রদর্শনীর দিনের জন্য তোমরা নিজেদেরকে সুসজ্জিত করে নাও, যেদিন তোমরা (তোমাদের আমলসহ) উপস্থিত হবে এবং তোমাদের কিছুই সেদিন গোপন থাকবে না।(তিরমিজি–২৪৫৯)
৩। মউতে আহমর বা লাল মৃত্যু : কামস্পৃহা ও লোভ–লালসা হতে মুক্তিতে হাসিল হয়। লোভ মানুষের শান্তি বিনষ্ট করে এমনকি মানুষকে নানা রকম অপরাধমূলক কাজের দিকে ধাবিত করে। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, হযরত কা‘ব বিন মালেক আনছারী (রাঃ) বলেন, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন যে, দু’টি ক্ষুধার্ত নেকড়ে বাঘকে ছাগপালের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া অত বেশী ধ্বংসকর নয়, যত না বেশী মাল ও মর্যাদার লোভ মানুষের দ্বীনের জন্য ধ্বংসকর। (তিরমিজি–২৩৭৬)
৪। মউতে আখজার বা সবুজ মৃত্যু : নির্বিলাস জীবন যাপনে অভ্যস্ত হওয়ার মাধ্যমে সবুজ মৃত্যু লাভ হয়। বিলাসিতা মানুষকে অন্ধ করে দেয়। বিলাসিতার ফলে মানুষ দুনিয়ার প্রকৃত রূপ ভুলে যায়। বিলাসিতার ব্যাধিতে আক্রান্ত সমাজ ধীরে ধীরে অবক্ষয়ের অতল গহ্বরে হারিয়ে যায়।বিলাসী মানুষ কখনো তৃপ্তি লাভ করতে পারে না। রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি বনি আদমকে স্বর্ণে ভরা এক উপত্যকা সম্পদ দেওয়া হয়, তথাপি সে দ্বিতীয়টার জন্য লালায়িত হয়ে থাকবে। আর তাকে দ্বিতীয়টি যদি দেওয়া হয়, তাহলে সে তৃতীয়টার জন্য লালায়িত থাকবে। বনি আদমের পেট মাটি ছাড়া ভরতে পারে না। তবে যে তাওবা করবে, আল্লাহ তার তাওবা কবুল করবেন। (সহিহ বুখারি–৬৪৩৮)
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও মানবকল্যাণ সাধনে গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী হযরত মওলানা শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) এঁর ভূতপূর্ব মহান আদর্শ ও নীতিমালাকে তথা তরিকা, ছিলছিলা, শজরা, উছুল, গাউছিয়ত নীতি ও উছুলে ছাবয়া বা সপ্তকর্ম পদ্ধতির হেদায়ত বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেয়ার গভীর প্রেরণায় গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর (ক.) মনোনীত গদীর স্থলাভিষিক্ত একমাত্র সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহ সুফি সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভাণ্ডারী (ক.) সমাজ সংস্কার ও নৈতিক উন্নয়নমূলক সমাজ সংগঠক পদ্ধতির সফলতার উদ্দেশ্যে তাঁর ছেলেদের মধ্যে যোগ্যতম ব্যক্তি হযরত মওলানা শাহ সুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)-কে একমাত্র সাজ্জাদানশীন মনোনীত কওে গদীর স্থলাভিষিক্ত এবং গাউছিয়ত জারি ও সফলতা দানকারী সাব্যস্ত করেন। মানবকল্যাণধর্মী উছুলে ছাবয়ার প্রকৃত বাস্তবায়ন, জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে, অনুরাগী–বিরাগী সকল সম্প্রদায়ের আত্মশুদ্ধি, ইহলোকিক ও পারলৌকিক শান্তি ও মুক্তি কামনায় বর্তমান সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহ সুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.) ইতিমধ্যে ‘দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ গঠনপূর্বক যুগোপযোগী মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বিশ্বশান্তি ও মানব কল্যাণে ‘দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ উছুলে ছাবয়ার প্রচার প্রসারে নিয়মিত আলোচনা সভা, সেমিনার, স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ, তাসাউফ সংলাপ আয়োজন করে আসছে। গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর (ক.) দর্শনে যেন কোন বিকৃতি স্থান না পায়, সেজন্য তাঁর সঠিক শিক্ষা ও জীবন–কর্ম প্রচাওে বর্তমান সাজ্জাদানশীন সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.) নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
লেখক : খতিব, প্রাবন্ধিক ও ইসলামি গবেষক
রিসার্চ ফেলো, দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট