ক্যারিয়ারে সবশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, ২০২২ সালের মার্চে। সে টেস্টে দুই ইনিংসেই দশের নিচে আউট হন সাদমান ইসলাম। একটি ছিল ডাক। এরপর দলে জায়গা হারান বাঁহাতি এই ওপেনার। মাহমুদুল হাসান জয়ের ইনজুরির কারণে দীর্ঘ আড়াই বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন এই ওপেনার। ফিরেই দারুণ এক ইনিংস খেললেন। কিন্তু তাতে মিশে রইলো আক্ষেপ। মাত্র ৭ রানের জন্য যে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা করতে পারলেন না সাদমান ইসলাম। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আলির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন সাদমান। ১৮৩ বলে তার ৯৩ রানের ইনিংসে ছিল ১২টি বাউন্ডারির মার। সাদমান আউট হওয়ার পরপরই দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষ হয়। ৪ উইকেটে ১৯৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের চা–বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। আগের দিনের বিনা উইকেটে ২৭ রান নিয়ে গতকাল শুক্রবার তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। দিনের শুরুতেই উইকেট হারায় টাইগাররা। নাসিম শাহর করা ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ হন ওপেনার জাকির হাসান । ৫৮ বলে ১২ রান করেন তিনি। উইকেটে সেট হয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। ৪২টি বল খেলে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু নিজের ধৈর্যকে দীর্ঘতর করতে পারলেন না টাইগার অধিনায়ক। ১৬ রান করে খুররম শেহজাদের বলে বোল্ড হন টাইগার অধিনায়ক। ২৭তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৫৩ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মুমিমুল হক আর সাদমান ইসলাম। ৯৪ রানের জুটি গড়েন তারা। দুজনই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। মুমিনুল অবশ্য টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৯তম ফিফটি হাঁকানোর পরই সাজঘরে ফেরত যান। পাকিস্তানি পেসার খুররম শেহজাদের বলে বোল্ড হন মুমিনুল। ৭৬ বলে ৫ বাউন্ডারিতে তিনি করেন ৫০ রান। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। ১৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান। তার সঙ্গে ২৪০ রানের জু্িট করা সৌদ শাকিল করেন ১৪১ রান। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ আর শরিফুল ইসলাম। সাকিব আল হাসান এবং মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার একটি করে উইকেট