কক্সবাজার র্যাব -১৫ সিপিসি-২ টেকনাফের হোয়াইক্যং ক্যাম্প গত আড়াই বছরের ৪৫ লাখ ৯২ হাজার ৩ শত ৭৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩৬ কেজি ২৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, বিয়ার,৬৩৭ ক্যান,দেশী-বিদেশী ৭৬ টি অস্ত্র, ১২৮ পিস বুলেট,৩৬ পিস ফেন্সিডিল,মদ ৩৯৩.৭ লিটার,বিয়ার,১৯২.৪৯ লিটার সহ এ ঘটনায় জড়িত ৫৬৭ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিপিসি-২ র্যাব টেকনাফের হোয়াইক্যং ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন,সিপিসি-২ র্যাব হোয়াইক্যং ক্যাম্পে দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে গত আড়াই বছরের উখিয়া- টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে
ইয়াবা,ক্রিস্টাল মেথ আইস,মদ,বিয়ার ক্যান,দেশী- বিদেশী আগ্নেয়অস্ত্র,বুলেট,ফেন্সিডিল উদ্ধার সহ এ ঘটনা জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে।
অভিযানে উদ্ধার করা হয় ২০২২ সালের শুরুতে ১০২১০৫০ পিস ইয়াবা ট্যালেট, ক্রিস্টাল মেথ আইস ৪ কেজি ৯৫ গ্রাম,বিদেশি মদ,৩৩৭.৯ লিটার, বিয়ার,৬৩৭ ক্যান,একনলা বন্ধুক,২ টি, এসএমজি,১ টি,এলজি, ২ টি,পিস্তল,১ টি,বুলেট,১০ রাউন্ড, গ্রেফতার, ১৬৫ জন। ২০২৩ সালে ২৪০০৩৩৩ ইয়াবা ট্যাবলেট,বিয়ার,১৯২.৪৯ লিটার মদ,৩৯৩.৭ লিটার,এলজি,১৬ টি,বিদেশি পিস্তল, ৪টি,শর্ট গান,১ টি,একনলা বন্ধুক ১০টি,ক্রিস্টাল মেথ আইস,২৬ কেজি গ্রেফতার, ২৫৭ জন।
২০২৪ সালে ১১৭০৯৯৫ ইয়াবা ট্যাবলেট অস্ত্র, ৪০টি বুলেট, ১১৮ রাউন্ড ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৯.৫৩০ গ্রাম, ফেন্সিডিল, ৩৬ পিস,১৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের অভিযান সম্পর্কে স্থানীয় আবুল হাসেম সওদাগর বলেন,এ অঞ্চলে র্যাব সদস্যরা মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করেছে।এসব অভিযানে র্যাব বিপুল পরিমাণ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন।
তিনি আরও বলেন,মাদক কারবারি সিন্ডিকেট উখিয়া- টেকনাফের মাদক ব্যবসা আরও বাড়াতে র্যাবের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ ও তাদের কোণঠাসা
করতে র্যাব অভিযানে গেলে তাদের ওপর হামলা ও নানান অপপ্রচারে লিপ্ত বলে শোনা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ সিপিসি-২ হোয়াইক্যং র্যাব ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান বলেন,গত আড়াই বছরে বিপুল পরিমাণ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডাকাত-মাদক ব্যবসায়ী ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরসার অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তবে র্যাবের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন এবং মাদক বিরোধী কাজে অনিহা সৃষ্টি করার লক্ষে মাদক কারবারিরা র্যাবের বিরুদ্ধে নানান কৌশলে কাজ করছে বলে জানা যাচ্ছে।