জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে গণপরিবহন ও দূরপাল্লার বাস চলাচল থাকায় কক্সবাজারে আটকে পড়া পর্যটকদের পুলিশী ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পর্যটক ভর্তি পুলিশের প্রথম বাসটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার পুলিশ লাইনস ত্যাগ করে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, যেসকল পর্যটক বাস ধর্মঘটের কারণে ফিরে যেতে পারছেন না, তাদের বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের সহায়তায় নিজস্ব পরিবহনে চট্টগ্রাম পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর আগে আটকে পড়া পর্যটকদের জেলা পুলিশ লাইনসে যোগাযোগ করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফেসবুক পেইজে ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর যারা পুলিশ লাইনস যান তাদের গাড়িতে তুলে প্রথম বাসটি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় যাত্রা শুরু করে।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে হঠাৎ গণপরিবহন ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় কক্সবাজার বেড়াতে আসা প্রায় অর্ধলাখ পর্যটক আটকে পড়েন। এ সময় অনেকে অতিরিক্ত ভাড়ায় বিমানে কক্সবাজার ত্যাগ করেন। তবে যাদের সেই সামর্থ্য নেই তারা ছোট যানবাহনে কক্সবাজার ছাড়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু অন্যসময়ের চেয়ে ভাড়া দু’তিনগুণ হওয়ায় শনিবার দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজার ত্যাগ করতে পারেননি আটকে পড়া পর্যটকেরা। এছাড়া শনিবার বিমানের টিকেটের মূল্যও ছিল অন্যদিনের চেয়ে বেশ চড়া।
কক্সবাজারের ব্যবসায়ী আবুল কাশেম আলম বলেন, কক্সবাজার থেকে বিমানের ফিরতি টিকেটের দাম অন্য সময়ে ছিল তিন হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা, আর শুক্রবার-শনিবার সর্বনিম্ন ৭ হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়েছে। যে কারণে অনেকে বিমানে গন্তব্যে ফিরতে গিয়েও অর্থাভাবে হোচট খান।
ফেডারেশন অব ট্যুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, হঠাৎ দূরপাল্লার বাস বন্ধ হওয়াতে পর্যটকরা চরম বেকাদায় পড়েছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও। এরপরও আটকাপড়া পর্যটকদের মধ্যে যারা হোটেলে অবস্থান করছেন তাদের কক্ষ ভাড়ায় বিশেষ ছাড় দিয়ে রাখা হচ্ছে।
কক্সবাজার বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, গণপরিবহন বন্ধের বিষয়টি জাতীয় ইস্যু। এ ব্যাপারে সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।












