চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ–সভাপতি নীলুফার কায়সারের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, কূটনীতিবিদ মরহুম আতাউর রহমান খান কায়সারের সহধর্মিণী এবং অর্থ প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান এমপির মাতা। নীলুফার কায়সারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী দোয়া–মাহফিল, দুস্থ–এতিম ও রোগীদের মাঝে খাবার ও পোশাক বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প ইত্যাদি সামাজিক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, অসামান্য প্রতিভাসম্পন্ন নীলুফার কায়সার নারী, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। সততা, ন্যায়নিষ্ঠা, সর্বজন প্রীতি ও পরোপকারিতার মূর্ত প্রতীক এই বিদূষী নারী ছিলেন পরিশীলিত রুচিবোধের অধিকারী ও অত্যন্ত গৃহিনী। স্বাধীনতা–উত্তর ১৯৭২ সালে তিনি বীরাঙ্গনা নারীদের পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়ে ঐ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন। চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার ক্ষেত্রে তিনি অসামান্য অবদান রাখেন। তিনি চট্টগ্রাম নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব ছাড়াও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে যেমন, তেমনি সমাজসেবার ক্ষেত্রেও সমগ্র চট্টগ্রামই ছিল নীলুফার কায়সারের বিস্তৃত চারণভূমি। চট্টগ্রামের আনোয়ারায় খাসখামা গার্লস হাই স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসাবে ঐ এলাকার এতিম ও দরিদ্র কন্যা শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থাকরণে ফলপ্রসূ উদ্যোগ নেন তিনি। এছাড়া, ইনার হুইল ক্লাব অফ চিটাগং, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি স্কুল, মা ও শিশু হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা, চট্টগাম জেলা ক্রীড়া পরিষদ, জাতীয় মহিলা সংস্থা, লায়ন্স কাব, লেডিস ক্লাবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রতিষ্ঠানে নেতৃস্থানীয় পদে সফলতার সাথে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন নীলুফার কায়সার।
বর্ণাঢ্য কর্ম, রাজনৈতিক ও পারিবারিক জীবন রেখে নীলুফার কায়সার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৬৫ বছর বয়সে ২০০৯ সালের ৬ এপ্রিল ইন্তেকাল করেন। তাঁর তিন কন্যা ওয়াসিকা আয়শা খান, হুমায়রা আয়শা খান ও মুনিজা আয়শা খান স্ব–স্ব কর্মস্থলে কৃতিত্বের অধিকারী।