বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের চরম আতঙ্কের মধ্যে আজ পালিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারা বিশ্ব যখন নাকাল, তখন অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুরা আরও বেশি নাজুক। এই সময়ে তাদের বিশেষ যত্ন ও সেবার প্রয়োজন। তাদের দিকে বেশি খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি দিবস যা প্রতিবছর ২ এপ্রিল পালিত হয়। অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তার উদ্যোগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের জন্য স্বাস্থ্য সেবা এবং আর্থ-সামাজিক সহায়তা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রস্তাব গৃহীত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাকে ‘এঙিলেন্স ইন পাবলিক হেলথ অ্যাওয়ার্ড’ এ ভূষিত করে।
অটিস্টিক শিশু শনাক্তকরণ, সেবা প্রদান এবং তাদের মা-বাবা বা যত্নদানকারীদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এ ‘সিনাক’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে এটিকে ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি অ্যান্ড অটিজমে রূপান্তর করা হয়েছে।
সারা পৃথিবীতে বেড়ে চলেছে অটিজম। কিন্তু অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার (এএসডি) নিয়ে জনমানসে এখনও সচেতনতা তলানিতেই। এ রোগ যে এখনও অবহেলিত, তা সকলেরই জানা। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শিশুর সামাজিক আচরণ যে ভাবে বদলানো উচিত, স্নায়বিক কারণে এ অসুখে তা হয় না। অথচ সচেতনতার অভাবে এই নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার চিনতেই পারেন না অভিভাবকরা। তাই এ রোগ সম্পর্কে আরও বেশি করে প্রচার দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।