আজ থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ বিএনপির

বাস ট্রেন লঞ্চ চালানোর ঘোষণা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের

আজাদী ডেস্ক | রবিবার , ৫ নভেম্বর, ২০২৩ at ৫:১৬ পূর্বাহ্ণ

এক সপ্তাহের মধ্যে একদিনের হরতাল এবং তিন দিনের অবরোধ শেষ। আজ রোববার থেকে ফের দুদিনের অবরোধ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। তিন দিনের অবরোধ শেষে দুদিনের বিরতি দিয়ে আজ ভোর থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার জন্য একই কর্মসূচি দিয়েছে সরকারের পদত্যাগের এক দফা আন্দোলনে থাকা বিএনপি। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গত বৃহস্পতিবার বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তাদের এক দফার দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা জোট ও দলগুলোও এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে। এদিকে অবরোধের পাশাপাশি চট্টগ্রামে আজ সকালসন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।

ঢাকায় ৩টি বাসে আগুন : দ্বিতীয় দফার অবরোধ শুরুর আগের দিন সন্ধ্যায় ঢাকার সড়কে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে তিনটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সন্ধ্যার পর স্বল্প দূরত্বের ব্যবধানে রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান মার্কেট এবং গাউসিয়া মার্কেটের সামনে সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এর কিছু সময় পর সায়েদাবাদ জনপদ মোড়ের কাছে ৭টা ৫৫ মিনিটে আরেকটি বাসে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার কথা জানান ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আকতার।

বাস ট্রেন লঞ্চ চালানোর ঘোষণা : অবরোধে ঢাকায় গণপরিবহন চলবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পরিবহন মালিক সমিতি। একইসঙ্গে ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল করবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল ঢাকা মহানগর সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক গোলাম সামদানী বলেন, আগের মতোই গাড়ি চলাচল করবে। অবরোধে কোনো গাড়ি বন্ধ থাকবে না।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা হিটলার বল বলেন, বিআরটিসির বাস চলাচল করবে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন জানান, অবরোধে ট্রেনের কোনো সময়সূচির পরিবর্তন হবে না। ট্রেন সময়মতো চলবে।

লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, লঞ্চ চলাচল যাত্রীর ওপর নির্ভর করবে। তবে বন্ধ থাকবে না।

জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। ২০ শর্তে তাদের সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ। সেদিন দুপুরের আগে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরুর পর কাছেই কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয় আরো ডজনখানেক যানবাহন। হামলা করা হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে। দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সংঘাতে প্রাণ যায় যুবদলের এক নেতার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরক্তচক্ষুর মধ্যেও কখনো আপস করেননি আখতারুজ্জামান বাবু
পরবর্তী নিবন্ধটিভি রিমোর্ট নিয়ে ঝগড়ার পর তরুণীর ‘আত্মহত্যা’