নারীদের ত্রিদেশীয় ফুটবল সিরিজে আজারবাইজানের কাছে হার মেনেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ে দারুণ এক গোলে সমতা ফিরিয়ে আজারবাইজানকে ভালো জবাব দিয়েছিল স্বাগতিকরা। বিরতির পরও লড়াইটা জমে ওঠে। কিন্তু শেষ দিকে এসে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখতে পারেনি স্বাগতিক দল। আজারবাইজানের কাছে ২–১ গোলে হারের তিক্ত স্বাদ নিতে হয়েছে মনিকা–মারিয়াদের। এর আগে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে আগ্রাসী খেলেও হার দেখেছে বাংলাদেশ। গতকালও লড়াই করে হেরেছে তারা। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার আজারবাইজান আক্রমণে ছিল এগিয়ে। ১৬ মিনিটে জাফরজাদা শেভিঞ্জের ফ্রিকিক কর্নারের বিনিময়ে ফেরান রুপনা। তিন মিনিট পর সফল হয় তারা। সতীর্থের ক্রসে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন শেভিঞ্জই। লাফিয়েও বলের নাগাল পাননি রুপনা। এই গোলের উদযাপনে ছিল আবেগ। না ফেরার দেশে চলে যাওয়া মায়ের ছবি সংবলিত জার্সি দর্শকদের সামনে এসে মেলে ধরেন তিনি। সেখানে লেখা ছিল ‘মা কখনও মরে না। তুমি সবসময় আমার হৃদয়ে আছো।’ ৩২ মিনিটে দারুণ সুযোগ নষ্ট হয় বাংলাদেশের। ঋতুপর্ণা চাকমার থ্রু পাস ধরে মনিকা চাকমা শটও নিয়েছিলেন। গোলকিপার দ্রুত পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে পথ আগলে দাঁড়ালে বল তার গায়ে লাগে। পরের মিনিটেই মারিয়ার চোখ জুড়ানো গোলে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। স্বপ্না রানীর কর্নার থেকে উড়ে আসা বল গোলকিপার ফিস্ট করার পর বক্সের ভেতরেই পেয়ে যান মারিয়া। দুই নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী এই মিডফিল্ডারের শট বাতাসে ভেসে সব ডিফেন্ডারের ওপর দিয়ে খুঁজে নেয় জাল। গোলকিপার প্রতিরোধের সুযোগই পাননি। রুপনার ক্ষিপ্রতায় ৩৮ মিনিটে গোল হজম করা থেকে বাঁচে বাংলাদেশ। সতীর্থের পাস হেডে বের করে নিয়েছিলেন মানিয়া ইসরা। তবে আজারবাইজানের এই মিডফিল্ডার শট নেওয়ার আগেই ছুটে এসে বল গ্লাভসে তালুবন্দি করেন রুপনা। বিরতির পর দুই দলই গোলের সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করে। আজারবাইজান বারকয়েক রুপনার পরীক্ষাও নেয়। শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে ৮৩ মিনিটে। বাঁ প্রান্তে ইয়েলিজের ক্রসে মানিয়া ইসরা আনমার্কড অবস্থায় দৌড়ে এসে চলতি বলে ডান পায়ের জোরালো শটে জাল কাঁপান। এই গোল আর শোধ দেওয়া হয়নি স্বাগতিকদের। হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে পিটার বাটলারের দলকে।










