কে বলেছে তুমি নেই এই ধরণীর বুকে
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে অনন্ত মননে।
শিল্পীরা আজও গেয়ে যায় তোমারই গান
তোমার সুরে মাতিয়ে রাখে স্বর্গীয় সুখে।
শিল্পকলায় ছবি আঁকে তোমায়ই স্মরণে
কবিদের কলমে ফুটে তোলে তোমারই শান,
আবৃত্তির ছন্দে চলে তোমারই গুণগান।
বাউলের একতারায় বিরহের মরমী সুরে
সাহিত্যিকের রচনায় তোমার কর্মগুণের সুনাম
ছড়িয়ে আছে চারিদিকে পাঠকের মনের ঘরে।
পিয়ানো হারমোনিয়াম বেহালা তবলার তালে
সামা–এ কাওয়ালী মধুর মোহিত সুরধ্বনি
শিহরণে বিভোর তোমার রূপে দোলে।
শিক্ষাবিদরা আড্ডায় চায়ের কাপে ঝড় তুলে
তোমাকে নিয়ে রচিত বিশাল স্মারক গ্রন্থ
কবি প্রাবন্ধিক পাঠকের মনে খোরাক মিলে।
কে বলেছে তুমি নেই এই ধরণীর বুকে
রাজনীতিবিদের অন্তরে স্বপনদুয়ার খুলে
শিক্ষাবিদ সাংবাদিক লেখক সাহিত্যিক
রেখেছে তোমায় সযত্নে মন মন্দিরে।
তোমার স্বপ্নটাই সযত্নে লালন করে চলেছে
তোমারই সুযোগ্য সন্তান প্রিয় সবার
পঁয়ষট্টি বছর আজাদীর এই জয়যাত্রায়
সমুজ্জ্বল প্রদীপের আলোয় আলোকিত সমাজ
বিনির্মাণে কাজ করেন সকলে মিলেই
আজাদী পরিবার।
তোমার আকাঙ্খা ছিল, স্বপ্ন ছিল পাঠকের আস্থা
সেই স্বপ্নের সফল যাত্রা প্রথম শ্রেষ্ঠ
আঞ্চলিক পত্রিকার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত
আজাদীর গৌরবোজ্জ্বল চলার পথে
পাঠক হিসেবে আমিও তুষ্ট।