১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম শহরে মামার বাসায থেকে লিখাপড়া করতাম। তখন মামার বাসায় আজাদী পত্রিকা কিনত। সেই শুরু। আজাদীর নিয়মিত পাঠক হয়ে গেলাম। মামা বিদেশ চলে গেলে আজাদী কেনা বন্ধ হয়ে যায, তখন চকবাজার অলিখাঁ মোড়ে হকারের কাছে দাঁড়িয়ে আজাদী পড়তাম। নিজে যখন টিউশানী শুরু করি সেদিনই হকারকে বলে দিলাম নিয়মিত আজাদী দিতে। এ যেন একটা আলাদা টান, আলাদা ভালোবাসা। একদিন আজাদী অফিসে যাই একটা প্রেস রিলিস জমা দিতে, সেখানে বক্সে প্রেস রিলিস জমা দিয়ে পত্রিকা অফিসে একটু ঢুঁ মেরে দেখতে গিয়ে পরিচিত হলাম শ্রদ্ধেয় সিদ্দিক মাস্টারের সাথে। পরিচয় জিজ্ঞেস করে জানালেন উনি আমার বাবার বাল্য বন্ধু। এরপর তার হাত ধরে লিখতে শুরু করলাম। যে দিন প্রথম আমার লিখা আজাদীতে ছাপা হলে মনে হলো আমি এভারেষ্ট জয় করে ফেলছি। আজাদীতে লিখা ছাপা হলে সেই সংখ্যাটা অনেক যত্নে সংগ্রহ করে রাখতাম। ২০০২ সালে প্রবাসে চলে আসলে আজাদীর সাথে সাময়িক সম্পর্কে ছেদ পড়ে। ইন্টারেনেটের প্রসারের পর আজাদী অনলাইনে আসলো, আবার পুরাতন সম্পর্ক পুনপ্রতিষ্ঠিত হলো। এ যেন হারানো বন্ধুকে ফিরে পাওয়া। এখনো প্রতিদিনের রুটিন সকালে উঠে আজাদী পড়া। আরেকটা মজার বিষয় হচ্ছে আমি আজাদী পড়া শুরু করি চতুর্থ পাতা হতে, যেখানে পবিত্র কোরআন এবং হাদিস থাকে সেখান থেকে। প্রবাসের নিদারুণ ব্যস্ততার মাঝে এখনো মাঝে মাঝে লিখি কারণ এটা আমার ৩৪ বছরের ভালোবাসা। এই রকম লক্ষ কোটি মানুষের ভালোবাসায় আজাদী টিকে থাকুক হাজার বছর।