এ যেন মরার উপর খড়ার ঘা। এমনিতেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বেশ বাজেভাবেই হেরেছে বাংলাদেশ। বলা যায় ব্যাটারদের অমার্জনীয় ব্যর্থতায় এই হার বাংলাদেশের। আর এমন হারের পর স্বাভাবিকভাবেই অনেক কথা হচ্ছে। অথচ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল টাইগাররা। কিন্তু অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হওয়ার পর রীতিমতো ধস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। মাত্র ২৩ রান যোগ করতেই বাংলাদেশ হারায় ৮ উইকেট। এমন বিপর্যয়ের সময়েও অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম নামেন সাত নম্বরে। আর নেমেই মাত্র তিন বল খেলতে পেরেছেন তিনি। ফিরেছেন দলকে হারের মুখে ঠেলে দিয়ে। এদিকে প্রশ্ন উঠেছে কেন এত দেরিতে ব্যাটিংয়ে এলেন মুশফিক। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আঙুলে আঘাত পেয়েছেন মুশফিক। প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়েও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফারের বল বুঝতে না পেরে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন ৩ বলে ১ রান করে। মুশফিকের ভোগান্তির অবশ্য এখানেই ইতি ঘটছে না। আফগানিস্তানের ইনিংসের শেষদিকে আঙুলে আঘাত পান তিনি। এই ব্যথা তাকে অনিশ্চিত করেছে সিরিজের পরের দুই ওয়ানডের জন্যও। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে যে মুশফিক খেলতে পারবেন না, এটা একরকম নিশ্চিতই। কারণ তার আঙুলে চিড় দেখা দিয়েছে তার । যা সুস্থ হতে সময় লাগবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। আগামী ১১ নভেম্বর সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও মুশফিকের খেলার ব্যাপারে বেশ ভালো সংশয়ই রয়েছে। এমনিতেই দলের অবস্থা একেবারে বেহাল।এ অবস্থায় মুশফিকের মত অভিজ্ঞ ব্যাটারের থাকতে না পারাটা আরো বড় ধাক্কা বাংলাদেশের জন্য।
বুধবারের ম্যাচ শেষে করানো এক্সরেতে বাম হাতের তর্জনীতে চিড় ধরা পড়ার কথা জানিয়েছেন দলের সঙ্গে থাকা ফিজিও দেলোয়ার হোসেন। আফগানিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসের শেষ দিকে কিপিং করার সময় বাম হাতের তর্জনীতে ব্যথা পান মুশফিক। পরে এঙ–রে করানো হলে আঙুলের ওপরের দিকের সংযোগস্থলে চিড় ধরা পড়ে। আপাতত কনজার্ভেটিভ পর্যবেক্ষণে আছেন মুশফিক। তাই দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলা হবে না তার। যথাসময়ে তার অবস্থার ব্যাপারে পরবর্তী তথ্য জানানো হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফিরেই দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে, তিন টি–টোয়েন্টি খেলতে ক্যারিবিয়ায় যাবে বাংলাদেশ। ইনজুরির অবস্থা বুঝে ওই সফরে মুশফিকের অংশগ্রহণের ব্যাপারে চূড়ান্ত তথ্য পাওয়া যাবে।