নগরের আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকাসহ আশেপাশের রাস্তা ও ফুটপাত থেকে দুই শতাধিক দোকান ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত (চসিক)। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী। অভিযানে ১৪ জন ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিককে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অবশ্য অভিযানের কয়েক ঘণ্টা পর বিকেল থেকে উচ্ছেদকৃত এলাকায় ভ্রাম্যমাণ হকাররা ফিরে আসতে শুরু করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা ছাড়াও সিজিএস বিল্ডিং এলাকা, লাকী প্লাজা এবং টাইগারপাসে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে বাণিজ্যিক এলাকার আখতারুজ্জামান সেন্টারের সামনে থেকে চতুর্দিকের ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করা হয়। এখানে বিভিন্ন কাঠামো তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে হকাররা ব্যবসা করে আসছিল। এতে পথচারীর চলাচলে বিঘ্ন ঘটছিল। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে এখানে উচ্ছেদ অভিযান চালায় চসিক। সিজিএস বিল্ডিং, লাকী প্লাজা এবং টাইগারপাস এলাকায়ও স্থায়ী কাঠামো করে বিভিন্ন দোকানপাট গড়ে তোলা হয়েছে। অভিযানে এসব উচ্ছেদ করা হয়।
এদিকে আগ্রাবাদ এলাকায় নালার উপর বিভিন্ন দোকানের অংশ নির্মাণ করা হয়েছে। এমনকি ঢালাই করে বর্ধিত করা হয়েছে দোকানপাট। কয়েক জায়গায় দোকান ও ভবনের সিড়ি করা হয়েছে ফুটপাতের উপর। স্ল্যাব দেয়া হয়েছে সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি ছাড়া। অভিযানে দোকানের বর্ধিত অংশগুলো উচ্ছেদ করা হয়। একইসঙ্গে রাস্তা, ফুটপাত ও নালার জায়গায় দখল করে বিভিন্ন ভবনের অংশ বর্ধিতকরণ, রাস্তা ও নালা দখল করে অনুমতি বিহীন স্ল্যাব স্থাপনসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল রেখে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে জরিমানা করা হয় বলে দৈনিক আজাদীকে জানান অভিযানে অংশ নেয়া চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম।
লালদীঘি থেকে আন্দরকিল্লা : চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজনের নেতৃত্বে লালদিঘী মোড় থেকে আন্দরকিল্লা মোড় পর্যন্তও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এ অভিযানে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করা এবং নির্মাণ সামগ্রী রেখে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।