আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় বাইডেনের ছেলে দোষী সাব্যস্ত

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্টের সন্তান দোষী সাব্যস্ত হলেন

| বুধবার , ১২ জুন, ২০২৪ at ৭:৫২ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন বন্দুক কেনার সময় মাদকাসক্তি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ার রাজ্য আদালতের জুরিরা গতকাল মঙ্গলবার এই ফৌজদারি মামলার তিনটি অভিযোগেই হান্টারকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছেন। তার সর্বোচ্চ ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম ক্ষমতায় থাকা একজন প্রেসিডেন্টের সন্তান কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেন। বিচারক হান্টার বাইডেনের সাজা ঘোষণার কোনো দিন নির্ধারণ করেননি। তবে সাধারণত ১২০ দিনের মধ্যে সাজা ঘোষণা করা হয়ে থাকে বলে জানান তিনি। খবর বিডিনিউজের।

গত ৩ জুন ডেলাওয়ারের ফেডারেল আদালতে হান্টারের বিচার শুরু হয়। আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় মিথ্যা বলা এবং মাদকাসক্ত হয়েও আগ্নেয়াস্ত্র রাখা সংক্রান্ত তিন অপরাধে গত বছর অভিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে ডেলাওয়ারের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছিল, আগ্নেয়স্ত্রের লাইসেন্সের আবেদনে হান্টার বলেছিলেন, তিনি আগ্নেয়াস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারকারী নন। কোনো মাদক বা উত্তেজক দ্রব্যেও আসক্ত নন। অথচ তিনি জানতেন, এর সবই মিথ্যা।

২০১৮ সালের অক্টোবরে ডেলাওয়ারের বন্দুকের দোকানে কোল্ট রিভলবার কেনার সময় হান্টার ওই মিথ্যা তথ্য দেন। তিনি ১১ দিন বন্দুকটি নিজের কাছে রেখেছিলেন। তবে হান্টার আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত অভিযোগে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন।

গতকাল আদালত হান্টারকে দোষী সাব্যস্ত করার পর তার বাবা জো বাইডেন একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, তিনি মামলার রায় মেনে নিয়েছেন এবং বিচার প্রক্রিয়াকে সম্মান করবেন। হান্টার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা ভাবছেন বলেও জানান তিনি।

৮১ বছর বয়সী জো বাইডেন যখন দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চালাচ্ছেন, ঠিক সে সময়ই তার ছেলের বিচারের এই রায় প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য সুবিধা বয়ে আনতে পারে। রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে বিষয়টিকে কাজে লাগাতে করতে পারে ট্রাম্পের রিপাবলিকান শিবির। তারা এর ফলে ট্রাম্পের ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার দিক থেকে মানুষের মনোযোগ সরানোর সুযোগ পেয়ে যেতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজমিসহ ঘর পেয়ে বদলে গেছে তৃতীয় লিঙ্গের মনিষার জীবন
পরবর্তী নিবন্ধহাবিব গ্রুপকে খেলাপি ঋণের ৩৫০ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ