রান্নাঘরে সবচেয়ে বেশি সতর্কতা দরকার : রান্না শেষে চুলার চাবি ভালো করে বন্ধ করুন, ফু দিয়ে নয়। গ্যাসের গন্ধ পেলে তৎক্ষণাৎ দরজা–জানালা খুলে দিন, ফ্যান চালাবেন না, সুইচ অন–অফ করবেন না। ছোট বাচ্চাদের দেশলাই বা লাইটারের নাগালের বাইরে রাখুন।
খোলা বাতি ও মোমবাতি ঘুমের আগে নিভিয়ে ফেলুন : অনেকে ধূপ–আগরবাতি কিংবা মোমবাতি জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। আবার কয়েলও জ্বালান মশা তাড়াতে। এটি মারাত্মক ঝুঁকি। লোকশূন্য ঘরে কখনও খোলা আগুন রেখে যাওয়া যাবে না।
বৈদ্যুতিক লাইন নিয়মিত পরীক্ষা করান : অভিজ্ঞ ইলেকট্রিশিয়ান বা বিদ্যুৎ–মিস্ত্রি দিয়ে প্রতি ছয় মাস অন্তর বাড়ির তার ও ফিটিংস পরীক্ষা করান। মেইন সুইচ যেন সহজে পাওয়া যায়। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে মেইন সুইচ বন্ধ করলে বিপদ অনেক কমে।
প্রতিটি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখা : অন্তত একটি ফায়ার এঙটিংগুইশার, দুই বালতি পানি বা বালু মজুত রাখুন। কারখানা–অফিসে অগ্নি নির্বাপণ আইন ২০০৩ অনুযায়ী বাধ্যতামূলক যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে হবে এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
আগুন লাগলে যা করবেন : শান্ত থাকুন, চিৎকার করে সবাইকে সতর্ক করুন। সম্ভব হলে ছোট আগুন নিভানোর চেষ্টা করুন। তৎক্ষণাৎ ৯৯৯ অথবা ফায়ার সার্ভিসের হটলাইনে ফোন করুন। ধোঁয়া হলে নিচু হয়ে হামাগুড়ি দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করুন। আগুন কারও বন্ধু নয়। একটু সচেতনতাই পারে আপনার প্রিয়জনকে বাঁচিয়ে রাখতে। আজই শুরু করুন।











