আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ওঁত পেতে আছে, সবাই সজাগ থাকবেন : শাহাদাত

চকবাজারে বিএনপির অভিযোগ কেন্দ্র উদ্বোধন

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১০ আগস্ট, ২০২৪ at ৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ

সন্ত্রাসীদের জায়গা এই দেশে আর হবে না বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ওঁৎপেতে আছে। ওই সন্ত্রাসীরা যারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছিল, তারা সন্ত্রাস রাহাজানি করে বিএনপির উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সবাই সজাগ থাকবেন। যাতে কোনো দুষ্কৃতকারী অপকর্ম করে বিএনপির উপর দোষ ছাপিয়ে দিতে না পারে। তাদের ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে দেয়া যাবে না। আপনার কাউকে এক টাকাও কেউ চাঁদা দিবেন না। তিনি গতকাল শুক্রবার বাদে জুমা ডিসি রোড চকবাজার ধুনিরপুল সংলগ্ন পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজি ঠেকাতে চকবাজার কাঁচা বাজার সংলগ্ন অভিযোগ কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শাহাদাত বলেন, আমরা অভিযোগ কেন্দ্র খুলেছি; এতে নম্বর দেওয়া আছে। কোনো অভিযোগ পেলেই জানাবেন। এছাড়া আমরা এলাকায় এলাকায় মাইকিং করে বলছি। অভিযোগ পেলেই অভিযোগ কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন। কোনো পরিবারের, কোনো দলের কিংবা অন্য কারো যতি অভিযোগ থাকে অভিযোগ কেন্দ্রে জানাবেন। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারী বা কিছু দুষ্কৃতিকারী যাদের কাছে এখনো অস্ত্র রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এই অস্ত্রগুলো যুবলীগছাত্রলীগের কাছে আছে। যার প্রেক্ষিতে তারা বিভিন্ন জায়গায় রাতের অন্ধকারে চুরি ডাকাতি করছে। অনতিবিলম্বে ওই সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে তাদের অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে হবে।

ডা. শাহাদাত বলেন, চকবাজার কাঁচা বাজার আছে, এখানে মালিক সমিতি আছে। কাউকে এক টাকাও চাঁদা দিবেন না। চাঁদা চাইলে তাকে ধরে অভিযোগ কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন। আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ ও ছাত্রদের নেতা শহীদ ওয়াসিম আকরাম, মুগ্ধসহ যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আমরা এই বিজয় অর্জন করেছি। কোনোমতেই এই বিজয়কে ম্লান হতে দেওয়া যাবে না ।

তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিগত ১৬১৭ বছর গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের অনেক ভাইয়েরা শহীদ হয়েছেন। হাজার হাজার নেতাকর্মী মামলার শিকার হয়ে জেলে গেছেন এবং পালিয়ে বেড়িয়েছেন। মামলার হাজিরা দিতে দিতে পরিবারকে খাবার দিতে পারেন নাই। কি যে একটা অবস্থা বিরাজ করছিল। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। ছাত্রজনতা আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা এই বিজয় অর্জন করে করেছি। কিন্তু এই বিজয় ধরে রাখতে হবে। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। তাই বিজয় অর্জন করলেই হবে না, এই বিজয়কে ধরে রাখতে হবে।

নগর বিএনপির সাবেক সহদপ্তর সম্পাদক অধ্যক্ষ খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে এবং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী এমরান উদ্দিনের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির নেতা ইয়াসিন চৌধুরী আসু, ইব্রাহিম বাচ্চু, আমিন মাহমুদ, হাজী আব্দুল আজিজ, হাজী নবাব খান, রন্‌জু মিয়া, আব্দুল্লা আল সগীর, নগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, মোহাম্মদ আলমগীর, নাজমুল হক নাজু, আ খ ম জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ শাহজাহান, শফিকুর রহমান শফি, আব্দুল কাদের, মো. খোরশেদ আলম, হাজী মোহাম্মদ ইউনুছ, ফোরকান উদ্দিন, একতিয়ার উদ্দিন, গুলজার হোসেন লেদু, আবুল কালাম আবু, আজিজুল হক মাসুম, কামাল উদ্দিন, জিয়ারুল হক মিন্টু, মো. আলম, ইসমাইল হোসেন লেদু, মোহাম্মদ সেলিম, মো. জাবেদ, সাদ্দাম হোসেন, জাকির হোসেন, মো. সুলতান রাহান আলম জনি ও আরিফুর রহমান।

দোয়া মাহফিল : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং এই আন্দোলনে আহতের সুস্থতা কামনায় গতকাল বৃহত্তর বাকলিয়া বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মিলাদ ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। চকবাজার ধুনিরপুল পালগাজি জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত এ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনসহ বৃহত্তর বাকলিয়া বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরীতে সাধারণ মুসল্লিদের শান্তি মিছিল
পরবর্তী নিবন্ধঅন্তর্র্বর্তী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের : মিলার