আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্র হত্যার ইতিহাস : সালাহউদ্দিন আহমেদ

| শনিবার , ১৭ মে, ২০২৫ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির ৩১দফা সংস্কার কর্মসূচিকে ‘রাজনীতির মহাকাব্য’ অভিহিত করে বলেছেন, এই কর্মসূচি দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার পথরেখা তুলে ধরে। তিনি বলেন, আমাদের এই রূপকল্প সম্পর্কে জনগণকে জানাতে হবে। দলের প্রতিটি নেতাকর্মী ও তরুণকে এই ৩১দফার একেকজন দূত হতে হবে। গতকাল শুক্রবার খুলনা প্রেস ক্লাবের ব্যাংক্যুয়েট হলে আয়োজিত ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক বিভাগীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই সেমিনারের আয়োজন করে। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে আজ শনিবার নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে একটি বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। খবর বাসসের।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্র হত্যার ইতিহাস। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের ইতিহাস। সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে বাকশাল (একদলীয় শাসন ব্যবস্থা) প্রতিষ্ঠার ইতিহাস। মুজিব থেকে হাসিনা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দুর্নীতির এই ব্যবস্থা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী নেতৃত্ব ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে প্রবঞ্চনামূলক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, তাতে করে রাষ্ট্রের অভিভাবকত্বের মধ্যে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, সে কারণে শেখ হাসিনার শাসনামলে একটি অবৈধ ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য আমাদের শত শত নেতাকর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। সালাহউদ্দিন বলেন, জনতার রক্তের যে প্রত্যাশা বা আকাঙ্ক্ষা সেটিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে শক্তিশালী করে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ আমাদের এই নীতি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালীব রাহমান পার্থ, বিডি জবসের প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুর, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং ডাব্লিউ ডব্লিউ একাডেমির লেকচারার ড. মারুফ মালিক, রেজাউল করিম রনি, . সায়েম মোহাম্মদ, অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম খন্দকার, শিখো’র প্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামিমা সুলতানা, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌফিক জোয়ারদার এই উপলক্ষে বক্তৃতা করেন। বক্তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব হোসেন হোসেনসহ অনেক নেতাকর্মী। এসময় দলের স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছে সরকার
পরবর্তী নিবন্ধমালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা