এবারের আইপিএলে বলতে গেলে তেমন জ্বলে উঠতে পারেননি সাকিব। এরই মধ্যে দুটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে সাকিবের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর দুই ম্যাচ থেকে সাকিব উইকেট নিয়েছেন দুটি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ২৩ রানে এক উইকেট আর সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ৩৪ রানে এক উইকেট। দুই ম্যাচ ব্যাট হাতে করেছেন যথাক্রমে ৯ এবং ৩ রান। বলতে গেলে অভিজ্ঞ সাকিবের এবারের আইপিএলের শুরুটা একেবারেই বিবর্ন। অপরদিকে বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমানের এবারের আইপিএলের শুরুটা বলতে হবে দারুন উজ্জ্বল। গত বৃহস্পতিবার দিল্লী ক্যাপিট্যালের বিপক্ষে এবারের আসরে প্রথমবারের মত মাঠে নামেন মোস্তাফিজ। বল হাতে দারুণ সফল বলতে হবে বাংলাদেশের কাটার মাস্টার। প্রথম ম্যাচেই নিয়েছেন দুই উইকেট। ৪ ওভার বল করে মোস্তাফিজ এই দুই উইকেটের জন্য খরচ করেছেন ২৯ রান। যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটার স্টয়নিক এবং ইংলিশ ক্রিকেটার টম কারেনের উইকেট দুটি নিয়েছেন মোস্তাফিজ। বলতে গেলে দারুন শুরু বাংলাদেশের কাটার মাস্টারের। যদিও এই ম্যাচ বাট হাতে নামতে হয়নি মোস্তকফিজকে। কারন একজন ক্রিস মরিস ঝড় তুলে মোস্তাফিজের দলকে জিতিয়ে এসেছেন। এবারের আইপিএলের নিলামে বড় এক চমক ছিলেন ক্রিস মরিচ। ১৬ কোটি রুপি খরচ করে দক্ষিণ আফ্রিকার পেস অলরাউন্ডারকে দলে ভিড়িয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। অতীতে আইপিএল নিলামে বিদেশি কোনো ক্রিকেটারের এতো দাম উঠেনি। এতো দাম শুনে অনেকে নাক শিটকালেও মরিস দেখালেন কেন তাকে ১৬ কোটি রুপিতে কিনেছে রাজস্থান। একরকম হারতে বসা ম্যাচটাতে মরিস ঝড়ের কারণেই জিতেছে রাজস্থান। যদিও দলের জয়ের ভীতটা গড়ে দিয়েছিলেন রাজস্থানের বোলাররা। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন জয়দেব উনাদকাট ও রাজস্থানের বাংলাদেশি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের স্লো উইকেটে শুরুতে দিল্লির ব্যাটসম্যানদের নাকাল করে ছেড়েছেন উনাদকাট। এরপর স্লো উইকেটে বরাবরই ভয়ঙ্কর মোস্তাফিজ উনাদকাটের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দিল্লির সর্বনাশ করেছেন।