চট্টগ্রাম নগরে আদালতের অদূরে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবীকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি এ ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। গতকাল মঙ্গলবার এক বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান। বার্তাটি প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
এতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বন্দর নগরী চট্টগ্রামে এক আইনজীবীকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা কোনো ধরনের অযাচিত কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতেও বলেন। পাশাপাশি ড. ইউনূস বন্দর নগরসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারে আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেকোনো মূল্যে বজায় রাখতে অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধপরিকর।
মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানা এলাকায় আদালতের অদূরে রঙ্গম কমিউনিটি সেন্টারের সামনে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুন হন। সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানোর সময় তার অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটে। তখনই সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে স্তম্ভের ওপর একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ছাত্র–জনতা। এর মধ্যে ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে লালদীঘির মাঠে একটি মহাসমাবেশ হয়। সেদিন জাতীয় পতাকার ওপর ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে সমাবেশে অংশ নেওয়া লোকজন। এ নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা তৈরি হয়।
পরে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলায় গত সোমবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চিন্ময় দাসকে। পরে তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।