দীর্ঘ বিতর্কের পর করোনাভাইরাস পরীক্ষার অ্যান্টিবডি টেস্টের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, অনেকদিনের দাবি ছিল অ্যান্টিবডি টেস্টের অনুমতি দেওয়ার। এখন এটা চালু করার অনুমতি দিয়ে দিয়েছি। আজ আপনাদের যখন বললাম, তখন থেকেই এটা চালু হয়ে গেল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে সরকার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনছে, তার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সোমবার (আজ) দেশে আসতে পারে। সেজন্য প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টিকা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশেও সে অনুযায়ী টিকা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, টিকা নেওয়া মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। বাংলাদেশে কাউকে জোর করে টিকা দেওয়া হবে না। মানুষ স্বাধীনভাবে নেবে। খবর বিডিনিউজের।
গত মার্চে বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর এ পর্যন্ত শুধু আরটি-পিসিআর টেস্টই চলে আসছিল। তবে পরীক্ষায় গতি আনতে অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরুর ওপর জোর দিয়ে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা। রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন বা আরটি-পিসিআর পদ্ধতি সংক্রমণ শনাক্তে বিশ্বে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। তবে এই পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহের পর ফল পেতে বেশ সময় লেগে যায়, খরচও তুলনামূলকভাবে বেশি। তাছাড়া সব জায়গায় এ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরিও নেই।
র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে আধা ঘণ্টার মধ্যে জানা যায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে কিনা। আর শরীরে নির্দিষ্ট কোনো রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কিনা, রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে তা স্বল্প সময়ে জানা যায় অ্যান্টিবডি টেস্টের মাধ্যমে। দেশে এখন অ্যান্টিবডি পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিট আছে কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনীয় যা কিট লাগে তা আনা হবে।