গত ৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুর নাহার মিলনায়তনে গুণীশিল্পী ইকবাল হায়দার এর তিনটি বইয়ের প্রকাশনা ও সুহৃদ সম্মাননা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। চট্টগ্রাম একাডেমির মহাপরিচালক আমিনুর রশীদ কাদেরীর সভাপতিত্বে বই তিনটি নিয়ে আলোচনা করেন কবি–গীতিকার জসিমউদ্দিন খান, সাহিত্যিক ড. আনোয়ারা আলম এবং শিক্ষাবিদ প্রফেসর রীতা দত্ত। তাঁর রচিত তিনটি বই হলো– ‘আমার রচিত গান যত’, ‘দরদীয়ারে বন্ধু’ এবং ‘লোকসংগীতে আধ্যাত্মিকতা ও বিবিধ অনুষঙ্গ’। বই তিনটির প্রকাশক কালধারা। তিনটি বইয়ের চমৎকার প্রচ্ছদ করেছেন হায়দারী আন্দালুসিয়া। ইকবাল হায়দার মূলত একজন কবি, ছড়াকার, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও লোকসংগীত গবেষক। মঞ্চে সংগীত পরিবেশন তাঁর অত্যন্ত প্রিয় বিষয়। শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীর মিঞা। লেখকের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন আবৃত্তিশিল্পী তহুরা পিংকি। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কথাসাহিত্যিক দীপক বড়ুয়া, কবি অরুণ শীল, গল্পকার বিপুল বড়ুয়া, অধ্যক্ষ তরুণ কান্তি বড়ুয়া, অধ্যক্ষ ছন্দা চক্রবর্ত্তী, অধ্যাপক মৃনালিনী চক্রবর্ত্তী এবং অধ্যাপক গোফরান উদ্দীন টিটু। সময় বাড়ার সাথে সাথে মিলনায়তনে দর্শক শ্রোতাও বাড়তে থাকে, মিলনায়তনে ছিল উপচেপড়া ভিড়। অনেক দর্শককে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে দেখা যায়। মিলনায়তনে উপস্থিত সকল দর্শকশ্রোতাকে লেখক নিজের হাতে তাঁর লেখা তিনটি বই উপহার দেন। সভাপতি সহ মঞ্চে উপবিষ্ট সকলে লেখকের হাতে চট্টগ্রাম একাডেমির সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। এ সময় করতালির মাধ্যমে দর্শক শ্রোতারা কবি ও সংগীতশিল্পীকে অভিনন্দন জানান। ‘আমার রচিত গান যত’ বই নিয়ে আলোচনা করেন প্রফেসর রীতা দত্ত। তিনি বলেন, বইটিতে দেশের গান, আধুনিক গান ও লোকসংগীত সহ ৪০০টি গান স্থান পেয়েছে। প্রতিটি গানের মধ্যে রয়েছে আধুনিক ও লোক গানের সমন্বয়, তাঁর বেশ কয়েকটি গানে চট্টগ্রামের প্রতি যে ভালোবাসা রয়েছে তা লক্ষ্য করা যায়। প্রথম গানটি আমাদের চট্টগ্রামকে নিয়ে রচিত। ‘দরদীয়ারে বন্ধু’ বই নিয়ে আলোচনা করেন জসিম উদ্দিন খান। তিনি বলেন, বইটিতে রয়েছে ১০০টি গান। প্রতিটি গানের বাণী ও শব্দচয়ন অত্যন্ত চমৎকার। ‘লোকসংগীতে আধ্যাত্মিকতা ও বিবিধ অনুষঙ্গ’ বই নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ড. আনোয়ারা আলম বলেন, বইটিতে মোট প্রবন্ধ রয়েছে ১৫টি প্রতিটি প্রবন্ধ গবেষণা করার মতো। অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত লোকসংগীতের বিভিন্ন উপাদান এতে রয়েছে। তিনি চমৎকারভাবে রবীন্দ্রনাথের কথা, বাউল গান ও লালনের কথা বলেন। গান ও কথার মাধ্যমে সংগীত শিল্পী ইকবাল হায়দার তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করেন।