প্রতি বছর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেন সারাদেশ ব্যাপী বাৎসরিক আর্তনাদ নেমে আসে। এ আর্তনাদ শীতার্তদের আর্তনাদ, এ আর্তনাদ ছিন্নমূলদের আর্তনাদ, এ আর্তনাদ একটি সম্পূর্ণ ঋতুর আর্তনাদ। প্রতি বছর হাজারো শিশু, বৃদ্ধ, দরিদ্র্য, অসহায় মানুষ পুরো শীতকালব্যাপী অমানবিক কষ্ট ভোগ করে থাকে। শীতের তীব্রতায় গরম কাপড়ের অভাবে মারা যেতেও দেখা যায়। গরম কাপড়ের অভাবে রেল লাইনের পাশে, শহরের বস্তি এলাকাগুলোতে, শহরের ফুটপাথসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় দরিদ্র্য, ছিন্নমূল, শীতার্তদের অসহায় জীবনযাপন করতে দেখা যায়। শীতকালে উপযুক্ত শীতবস্ত্র ও চিকিৎসার অভাবে দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষ নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি, জ্বর, পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়। বিশেষ করে শীতকালে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে এসব রোগ মারাত্মকভাবে দেখা দেয়। তাই এই অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো সকল মানুষের সামাজিক, মানবিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব। সরকারের উচিত দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করা, শীতকালে বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসন করা এবং তাদের বিনামূল্যে বস্ত্র বিতরণ করা। এছাড়াও, সমাজের সকল বিত্তবান ব্যক্তি, সামাজিক সাহায্যকারী সংস্থা, রাজনৈতিক সংগঠনের উচিত গরীব–অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো এবং যারা প্রতি বছর নতুন শীতবস্ত্র কিনে তাদের পুরানো শীতবস্ত্র গরীবদের মাঝে বিতরণ করা। আমাদের সকলের দায়িত্ববোধেই বাঁচতে পারে একটি প্রাণ, কমতে পারে একটি মানুষের আর্তনাদ।
মো. মিনহাজুর রহমান মাহিম
শিক্ষার্থী,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।