কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের অসমাপ্ত ইউনিট–ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলন সম্পন্ন করে অক্টোবর মাসে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন হবে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা সংগঠনের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতে সূচনা বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের অধীনে থাকা ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানার অসমাপ্ত কমিটিগুলো গঠন করা হবে। তিনি বলেন, গত ২০ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে থাকা মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি চট্টগ্রাম এসেছিলেন। তখন তিনি যেই নির্দেশনা দিয়েছেন সে অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে অসমাপ্ত থাকা ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সমাপ্ত করা হবে। আগস্ট মাস যেহেতু শোকের মাস সেহেতু তখন কোনো সাংগঠনিক সম্মেলন করার সুযোগ নেই। তাই সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের সাংগঠনিক কাঠামোগুলোর সম্মেলন করে কমিটি গঠনের মাধ্যমে অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ঘোষিত ১০ দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে আ জ ম নাছির উদ্দীন আরও বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ১০ দফা নির্দেশনা সংগঠনকে মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর একটি জনকল্যাণমুখী রাজনীতিক রূপরেখা। বছরব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার পাশাপাশি দলের আদর্শ ও নীতির সাথে জনসম্পৃক্ততাকে আরো বেশি নিবিড় করবে। আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে উপলক্ষ্য করে ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে নগরীর ১৫টি থানা, ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড ও সকল ইউনিট থেকে মিছিল, ব্যানার, ফ্যাস্টুন ও বাদ্য–বাজনাসহ মিছিল এসে জমায়েত শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি, আন্দরকিল্লা, মোমিন রোড, ডিসি হিল, টিএন্ডটি এবং জহুর মার্কেট হয়ে পুনরায় লালদীঘি ময়দানে ফিরে আসবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, সৎ, সাহসী পরীক্ষিত ও ত্যাগী যেসকল আওয়ামী লীগ কর্মী যাদের, সমাজে গ্রহণযোগ্যতা আছে, তাদেরকে তৃণমূল স্তরে নেতৃত্বে আনতে হবে। কেননা তারাই সংগঠনের মূল প্রাণশক্তি। এই প্রাণশক্তির যথার্থ মূল্যায়নের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ভিত্তি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর সংগ্রাম–আন্দোলন লড়াই এবং স্বাধীন বাঙালির জাতিসত্তা নির্মাণের ধারাবাহিক পরম্পরায় একটি সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী ইতিহাসের হীরকখণ্ড। এই হীরকখণ্ড থেকে উৎসারি দ্যুতি আজ সারাবিশ্বে ছড়িয়েছে। আওয়ামী লীগকে বার বার ধ্বংস করার চেষ্টা করা হলেও এই সংগঠন আপন মহিমায় গ্রীক–পুরানের ফিনিঙ পাখির মতো জীবন ফিরে পেয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বদিউল আলম, উপদেষ্টা একেএম বেলায়েত হোসেন, আলহাজ্ব শফর আলী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি নোমান আল মাহমুদ, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মসিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, হাজী মোঃ হোসেন, জোবাইরা নার্গিস খান, দিদারুল আলম চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, মোঃ আবু তাহের, ডাঃ ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য এম.এ লতিফ এমপি, আবুল মনছুর, কামরুল হাসান বুলু, আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, সৈয়দ আমিনুল হক, জাফর আলম চৌধুরী, বখতেয়ার উদ্দীন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মহব্বত আলী খান, রোটারিয়ান মোঃ ইলিয়াছ, ড. নিছর উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, মোঃ জাবেদ, হাজী বেলাল আহমেদ প্রমুখ।