যুব এশিয়া কাপের প্রায় সব ম্যাচেই জ্বলে উঠেছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের ব্যাট। কিন্তু ফাইনালে খুব বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। দলও অলআউট হয়ে যায় ১৯৮ রানে। এরপর অনেকের আশাই ক্ষীণ হয়ে এসেছিল– আদৌ বাংলাদেশ জিততে পারবে কি না তৈরি হয়েছিল এই সংশয়। কিন্তু বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম একদমই ঘাবড়ে যাননি। এই পুঁজি নিয়েও জিততে আশাবাদী ছিলেন তিনি। শেষ অবধি ভারতকে ৫৯ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার যুব এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। ফাইনালের পর অধিনায়ক আজিজুল হাকিম বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। আল্লাহকে ধন্যবাদ। আমরা সবাই খুব খুশি। অল্প রানে আটকে গেলেও আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমি জানতাম, আমার বোলাররা কী করতে পারে।’ অল্প পুঁজি নিয়েও শুরু থেকেই দাপট দেখান বোলাররা। তিন উইকেট হারানোর পর ছোট একটি জুটি গড়ে ভারত। তখনও ঘাবড়ে যায়নি বাংলাদেশ। দুই ওভারে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন পেসার ইকবাল হোসেন ইমন। নিজের বোলারদের কী পরামর্শ দিয়েছিলেন আজিজুল? উত্তরে তিনি বলেন, ‘ভারতের ব্যাটাররা অফসাইডে একটু লড়াই করছিল। বিশেষ করে চতুর্থ বা পঞ্চম স্টাম্প বরাবর বলে। পরিকল্পনা ছিল, অফসাইডে বোলিং করে তাদের ঝামেলায় ফেলা।’ বাংলাদেশের সমর্থকরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই টুর্নামেন্টে সমর্থন দিয়ে গেছেন খেলোয়াড়দের। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও তাদের কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলেননি আজিজুল, ‘আমাদের সব সমর্থক এবং বাংলাদেশের সব মানুষকে ধন্যবাদ। ’ এদিকে ফাইনালে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া মোমেন্টাম এনে দেন ইকবাল হোসেন ইমন। দুবাইয়ে ভারতের ইনিংসের ২১তম ওভারে দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে আসল ধাক্কাটা দেন তিনিই। ফিরতি ওভারে আরেকটি উইকেট নিয়ে ভারতকে ম্যাচ থেকেই ছিটকে দেন ইমন। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ভারত। বাংলাদেশের বাকি বোলাররাও ইমনের দেখানো পথেই বোলিং করেছেন নিয়ন্ত্রিত লেংথে। ফলে ৫৯ রান জিতে শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। ভারতকে কাঁপিয়ে দেওয়ার পথে বল হাতে মাত্র ২৪ রানে ৩ উইকেট নেন ইমন। যা তাকে এনে দিয়েছে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের তকমা। তবে শুধু ফাইনাল নয়, টুর্নামেন্টেরই সেরা পারফর্মার তিনি। আসরে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নিয়েছেন এই তরুণ পেসার। এর মধ্যে তিনবার ম্যাচে কমপক্ষে ৩ উইকেট নিয়েছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ২৪ব রানে ৪ উইকেট তার সেরা বোলিং। ইমন ছাড়াও টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের শিরোপা জয়ে অবদান রেখেছেন আল ফাহাদ ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। ১২ উইকেট নিয়ে আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ফাহাদ। আর টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪০ রান করেছেন তামিম। ১টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ২টি ফিফটিও। অন্যদিকে ৩৩৬ রান করে শীর্ষে আছেন পাকিস্তানের শাহজাইব খান।