প্রতিটি জীবন মূল্যবান। আমরা শান্তি চাই। শান্তি আসুক জীবনের প্রতিটি ধারায়। আজ আন্দোলনের নামে ঘটছে অগ্নি সংযোগ, জ্বলছে বাস। যার শিকার দেশের বর্তমান দিনকাল। গত ২৮ শে অক্টোবর থেকে সে অবান্তর পথে হাঁটছে দেশের মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ। পুলিশ পিটিয়ে মেরে, বাসে অগ্নি সন্ত্রাসে হেলপার পুড়িয়ে কি সমাধান আসবে? তাতে কে লাভবান হচ্ছে? ক্ষতির দিকটা কি দেশের অগ্রগতির ধারা থেকে ছিটকে দেবে না? টেক ব্যাক বাংলাদেশ স্লোগানটি বার বার কানে বাজছে। কেন কার স্বার্থে স্লোগানটি? একজন বিদেশি কূটনৈতিক এর অতি উৎসাহী মনোভাবের মাশুল দিচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। তার শিষ্টাচারের মাত্রা নির্ণয় করার দিকটা কি নিয়ম নীতিতে পড়ে না? আমরা সংঘাত, শঙ্কা চাই না। চাই না অগ্নি সন্ত্রাসের বায়োলেন্স। মনে রাখা প্রয়োজন গাড়ি পুড়িয়ে স্থাপনা ভেঙে সত্যকে গোপন রাখা যায় না। গত ২৮শে অক্টোবর অগ্নি সন্ত্রাসে নতুন যোগ হলো হাসপাতাল আক্রমণ, এ্যাম্বুলেন্সে আঘাত, সাংবাদিক এর প্রতি চড়াও হওয়া ও পেটানো, প্রধান বিচারপতির ভবনে হামলা ও ভাঙ্গচুর। বিস্ময়ে ভাবি মানুষ এত অমানবিক জঘন্য হয় কীভাবে? এটা কি আন্দোলনের নতুন সংস্করণ?
সময় এখন উন্নয়নশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের প্রকাশ। তাই সহিংস রাজনীতি কোনও সমাধানের ইঙ্গিত বহন করে না। ভিসা নীতি, সংশয় দৃষ্টান্তের স্বরূপ না ভেবে নিজের দেশে থাকার প্রত্যয় নিয়ে বলতে চাই আমাদের সুশীলরা কোথায়? মুখে কুলুপ এঁটে কার স্বার্থ সংরক্ষণ করছে? জ্ঞান দিতে থাকা এই জ্ঞানতাপসরা কি সত্য কে সত্য বলতে ভয় পায়? এদেশ আপনার, আমার, সবার। আমরা সমাধান চাই তবে অর্জনের ধারাকে ব্যাহত করে নয়। শান্তি আসুক সর্ব ক্ষেত্রে।