জুলাই–অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারকে ৫ লাখ এবং আহতদের এক লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা যমুনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আহতদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের চেক রাজধানীতে একটি স্মরণসভা আয়োজনের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন কমিটি সকল শ্রেণির মানুষ, প্রবাসী বাংলাদেশি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ফাউন্ডেশনে অনুদান দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ফাউন্ডেশনের অফিস স্থাপন এবং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জায়গা ও স্বেচ্ছাসেবক খোঁজা হবে বলে জানানো হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। এছাড়া জুলাই–অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের সব ভিডিও, ছবি, মৌখিক ইতিহাস এবং অন্যান্য নথি ও স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণ এবং আর্কাইভ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সভায় বলেন, যেকোনো পরিমাণ অর্থদান নথিভুক্ত করতে হবে এবং দাতাদের তালিকাও সংরক্ষণ করা উচিত। যদি সম্ভব হয় তাদের নাম ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। তিনি আরও জানান, আহতদের চিকিৎসার খরচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বহন করবে। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহতদের যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, তা সরকারের চিকিৎসা ব্যয়ের পাশাপাশি হবে।
সভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহাবুবুর রহমান স্নিগ্ধ এবং কোষাধ্যক্ষ কাজী ওয়াকার আহমদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলন শুরুর পর গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট সরকার পতনের দিন পর্যন্ত সারাদেশে অন্তত ৬৩১ জন নিহত এবং ১৯ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ আহত হওয়ার তথ্য তথ্য সঙ্কলিত করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বা এমআইএস শাখা আন্দোলনে আহত ও নিহতদের এই তালিকা তৈরি করছে। সারাদেশের সরকারি–বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তথ্য নিয়ে করা এ তালিকা নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে।