অভিযোগপত্রে নাম এলেই ভোটে অযোগ্য, থাকবে না সরকারি চাকরি

মানবতাবিরোধী অপরাধ

| শুক্রবার , ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৭:১২ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইনে কারোর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র গৃহীত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার যোগ্যতা হারাবেন। একইভাবে তিনি স্থানীয় সরকার পরিষদ বা প্রতিষ্ঠানের সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক পদে নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকারও অযোগ্য হবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। খবর বাসস ও বিডিনিউজের।

তিনি বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩এ সেকশন ২০ (সি) যুক্ত করা হয়েছে। নতুন সংযোজন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের সেকশন ৯()-এর অধীনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য বা স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচিত পদে প্রার্থী বা বহাল থাকার যোগ্য থাকবেন না। তিনি আরও জানান, এ ধারা অনুসারে ওই ব্যক্তি প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়ার কিংবা অন্য কোনো সরকারি অফিসে অধিষ্ঠিত হওয়ারও অযোগ্য হবেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সে দিন দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনার সরকারের মন্ত্রীএমপি ও আওয়ামী লীগের নেতাদের কয়েকজন ধরা পড়েনে। অনেকেই বিদেশে বা আত্মগোপনে চলে গেছেন।

অভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীএমপির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা পড়েছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এ বছর ১০ জুলাই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে পাঁচ অভিযোগে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল১। আসামিদের মধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেছেন। তিন আসামির মধ্যে একমাত্র তিনিই কারাগারে আটক আছেন, বাকি দুজনকে পলাতক দেখিয়ে ৪ আগস্ট থেকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধচবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ১