অভিযুক্ত ইয়াকুবকে গ্রেপ্তারের দাবি

বাকলিয়ায় গোলাগুলি

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৫ জুন, ২০২১ at ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ

বাকলিয়ায় বড় মৌলভী কবরস্থানে সাইনবোর্ড লাগানোকে ঘিরে সৃষ্ট গোলাগুলির ঘটনায় জনৈক ইয়াকুবকে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে। গতকাল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যবৃন্দ’র ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কবরস্থান প্রতিষ্ঠাতার পুত্র এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমেদ ইলিয়াছ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত শুক্রবার আমরা এলাকাবাসী মিলে ‘বড় মৌলভী কবরস্থানে মরদেহ দাফনে টাকার প্রয়োজন নেই’ এমন বিজ্ঞপ্তি সম্বলিত একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করতে গেলে এয়াকুব আলী তার সশস্ত্র বাহিনী এলাকাবাসীর উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি করলে লিটনসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ এবং ২০জন আহত হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় বাকলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হলেও আসামীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। তিনি বলেন, ১৯৫১ সালে বড় মৌলভী কবর স্থানটি প্রতিষ্ঠা করেন আমার মরহুম পিতা। কবরস্থানের ভূমিকর আমরাই পরিশোধ করে আসছি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কবরস্থানটি এলাকার মৃত ব্যক্তিদের দাফনের জন্য উন্মুক্ত ছিল। কিন্তু এয়াকুব আলী গত কয়েকমাস ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং উক্ত কবরস্থানে মরদেহ দাফনে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে আসছিল। এই জঘন্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পুরো দক্ষিণ বাকলিয়াবাসী প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসী এয়াকুব আলী ও তার দলবল এলাকাবাসীর উপর আরো বেশী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মো. ইব্রাহীমের সহধর্মিনী নুর বেগম বলেন, এয়াকুব ও তার দলের সন্ত্রাসীরা সেদিন প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে। এতে আমার পুত্র লিটনের বুকে গুলিবিদ্ধ হয়। সে এখনও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই, বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড বাকলিয়া থানার আহ্বায়ক সাইফুল্লাহ মাহমুদ, মহিলা কমিশনার শাহীন আক্তার রুজি, ১৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ইয়াকুব হাজী, আবদুর রহমান

পূর্ববর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
পরবর্তী নিবন্ধমরণব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন জনসচেতনতা