পর্তুগীজরা অভিবাসনের জন্য ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যকে বেশী পছন্দ করেছে বলে সাম্প্রতিক সময়ে একটি অভিবাসন সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
ঐ সময়ে পর্তুগাল থেকে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ দেশ ত্যাগ করেছে যার মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পাড়ি জমিয়েছে যুক্তরাজ্যে। অভিবাসনের এই দৌড়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে স্পেন ও সুইজারল্যান্ড।
ইন্সটিটিউট ইউনিভার্সিটিরিও ডি লিসবোয়া (আইএসসিটিই)-এর গবেষণা কেন্দ্র, অবজারভেটরি অভ ইমিগ্রেশন-এর এক গবেষণায় ‘পর্তুগিজ দেশত্যাগের পরিমাণ স্থিতিশীলকরণ’ নামে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয় ২০১৯ সালে প্রায় ৮০ হাজার পর্তুগীজ পর্তুগাল ত্যাগ করে যার সংখ্যা আগের বছরের মতো একই এবং ২০১৭ সাল থেকে কিছুটা কম। ২০১৭ সালে প্রায় ৮৫ হাজার মানুষ উন্নত জীবনের আশায় অভিবাসী হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
২০১৯ সালে ২৪ হাজার ৫৯৩ জন পর্তুগিজ যুক্তরাজ্যে অভিবাসী হয়েছেন যা ছিল পূর্বের বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশের বেশি এবং যুক্তরাজ্যের মোট অভিবাসনের প্রায় ২০ শতাংশের কাছাকাছি। পর্তুগালের বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে অভিবাসনের এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
উল্লেখ্য, পর্তুগালে বিপুলসংখ্যক অভিবাসী স্বল্প সময়ে মাত্র ৫ বছর বৈধ বসবাসে পর্তুগীজ নাগরিকত্ব নিয়ে যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আরো উন্নত জীবনের আশায় পুনরায় অভিবাসী হয়। এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশী সহ দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা এবং ব্রাজিলের বিপুলসংখ্যক অভিবাসী।