অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও বহিষ্কৃতদের ফেরানোর আহ্বান রওশনের

| মঙ্গলবার , ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৯:২৭ পূর্বাহ্ণ

দলীয় ঐক্যের স্বার্থে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও বহিষ্কৃতদের স্ব স্ব পদে ফেরানোর আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি এই আহ্বান জানান। খবর বিডিনিউজের।

তিনি বলেন, ‘যেই মুহূর্তে প্রয়োজন সকল স্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মাধ্যমে নির্বাচনে বিপর্যয় এড়িয়ে দলকে শক্তিশালী করা, সেই মুহূর্তে নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মীদের দল থেকে বের করে দিয়ে দলকে ন্যাপ মোজাফফর, ন্যাপ ভাসানী ও মুসলিম লীগে রূপান্তরের সামিল। তাই অনতিবিলম্বে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার সকলে প্রয়াস গ্রহণের জন্য পার্টির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব ও সদস্য সচিব গোলাম মসীহ স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিটি ইমেলে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ অভিযোগে জাতীয় পার্টির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে অব্যাহতি কিংবা বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদের মধ্যে ভোটের পাঁচদিনের মাথায় রওশন এরশাদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত পার্টির কোচেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়কে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে রওশন এরশাদ বলেন, ‘পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যেসব নেতাকর্মী দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট, এদেরকে দল থেকে বহিষ্কার বা অব্যাহতি প্রদান অতীব দুঃখজনক। বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তথাকথিত দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অজুহাত তুলে দলের নিবেদিত প্রাণ কর্মী ও সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের দল থেকে বহিষ্কার করা অত্যন্ত দুঃখজনক।

অবিলম্বে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের দলে ফিরিয়ে এনে স্ব স্ব পদে বহালের আহ্বান জানাচ্ছি।’

এবার নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশনের পুরনো বিবাদ নতুন করে প্রকাশ্যে আসে। এরশাদের স্ত্রী রওশন অভিযোগ করেন, এরশাদের ভাই জিএম কাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সরিয়ে ‘ক্যু’ করে জাতীয় পার্টির কর্তৃত্ব নিয়েছেন। রওশনপন্থি হিসেবে পরিচিত নেতাদেরও এবার লাঙ্গলের মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এরশাদের ছেলে রাহগির আলমাহি সাদ যে রংপুরু৩ আসনের এমপি ছিলেন, সেখানে তাকে মনোনয়ন না দিয়ে ভোট করেন জিএম কাদের নিজে। শেষ পর্যন্ত রওশন বা সাদ আর নির্বাচনে যাননি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজনকল্যাণে স্বচ্ছতার সাথে কাজ করতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধকষ্টার্জিত বিজয়ের মালা কর্মীদের পরিয়ে দিতে আমি এসেছি