এই লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা প্রেক্ষাপট নিয়েও আছে অনেকের মাঝে বাহারী মত। কারো চিন্তা হলো লকডাউন দেবার পেছনের মূল কারণ আন্দোলন বা এজাতীয় বিষয়গুলোর পথ রোধ করা। আবার কেউবা বলছে এর প্রয়োজন থাকলেও জীবিকায় প্রচণ্ড বাধা, কাজেই অসম্ভব। কেউ ভাবছে বেঁচে আছিতো এখনো, কাজেই অনর্থক সব। বিলাসী ভবঘুরে আনন্দভ্রমণ বা আড্ডার উন্মুখতায় বাঁধসাধা জীবন অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না, এ যেন এক পরাধীনতা। এমনই ভিন্ন ভিন্ন মত আর হরেক মানসিকতার মধ্যে ডুবে আছে এদেশের জনমত, জনস্রোত। তবে প্রতিনিয়ত লকডাউনে কিছু ঘটনা, কিছু ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওটির বিষয়টি তুলে ধরবার একটা তাগিদ অনুভব করছি। আমরা সবাই ভিডিওটিতে দেখেছি একজন ভদ্রমহিলা উচ্চকন্ঠে অনেক কথাই বলেছেন। নিজেকে যেহেতু একজন এসোসিয়েট প্রফেসর (ডাক্তার) পরিচয় দিচ্ছিলেন, সেহেতু বিষয়টি স্পষ্ট যে তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা এবং ওখানে পোশাকধারী পুলিশ এবং কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর স্ট্যাটাস ছুঁতে পারবার কথা নয় (যুগ্মসচিব পদমর্যাদার)। ডাক্তার ভদ্রমহিলা আইডিকার্ড ভুলে যদি ফেলেই আসেন সেটা যে সঠিক কাজ হয়েছে, তা আমি কখনোই বলব না। কিন্তু তার পরিধান (নামসহ এপ্রোন/ বিএসএমএমইউ এর নামাঙ্কিত স্টিকার), পরিবহন (বিএসএমএমইউ এর লগো লাগানো), পরিচালক দ্বারা স্বাক্ষরিত কোভিড ফ্রন্টলাইনার সার্টিফিকেট গাড়ীর গ্লাসে দৃশ্যমান…এতকিছু থাকবার পরও যদি সত্যিকার ডাক্তার কিনা বুঝবার মতন বোধ বিবেচনা কর্মরত পুলিশ বা কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেটের না থাকে তাহলে তা আমাদের সকলের জন্যই দুঃখজনক। নারীকে মানুষ ভাবতে হয়ত অনীহা। আমি এজাতীয় মানসিকতা নিয়ে সত্যিই শংকিত। এতো মহামারীর থেকেও ভয়ংকর।