অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কঠোর হব : মেয়র

পুনরায় দখল রোধে হবে মনিটরিং কমিটি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কঠোর হবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের ভূ-সম্পত্তিগুলোতে যারা অবৈধভাবে দখল করে আছেন তাদেরকে তিল পরিমাণও ছাড় দেওয়া হবে না। এক্ষেত্রে দখলকারী যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন এখানে আপসের প্রশ্নই কোনো প্রশ্নই আসে না। উচ্ছেদকৃত জায়গাসমূহ যাতে পুনরায় দখল না হয় সে জন্য একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে। গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত চসিকের বর্তমান পর্ষদের তৃতীয় সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জুম অ্যাপের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে সভা। মেয়র বলেন, বন্দরভিত্তিক চট্টগ্রাম সমৃদ্ধ না হলে বাংলাদেশ এগুবে না। এ বাস্তবতাকে সামনে রেখে চট্টগ্রামকে একটি আন্তর্জাতিক মানে নগরীতে রূপান্তর করতে চাই। এক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনের যে সম্পদ আছে তা ব্যবহার এবং খালি জায়গাগুলোতে আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ করে কারো মুখাপেক্ষী না হয়ে একটি স্বাবলম্বী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
তিনি আরো বলেন, নগরে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প দিয়েছেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে খালসমূহের কোনো কোনো অংশে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। বাঁধের কারণে পানি চলাচল বিঘ্নিত হবে এবং জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে সিডিএ চেয়ারম্যানের সাথে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। তিনি মে মাসের মধ্যে খালের প্রতিবন্ধকতা অপসারণে আন্তরিক প্রচেষ্টার কথা জানিয়েছেন। এছাড়া দুই প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশল বিভাগ সরেজমিনে স্পটগুলো চিহ্নিত করেছে। আশা করা যায় তাদের প্রতিশ্রুতি মতো পানি চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
মেয়র বলেন, করোনাকালের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা সুরক্ষায় সিটি কর্পোরেশন জরুরি সেবা কার্যক্রম সার্বক্ষণিক চলমান রাখবে। বর্ষার আগেই নালা-নর্দমা থেকে মাটি উত্তোলন ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং মশক প্রজনন বিস্তার রোধে ওষুধ ছিটানো ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে চসিকের সংশ্লিষ্ট জনবল প্রস্তুত আছে। তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে। এক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে সরাসরি মেয়রকে অবহিত করতে বলেন। পবিত্র রমজান মাসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করে নগরবাসীর দুর্ভোগ ও ভোগান্তি লাঘবের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেন, নগরীর ভালো-মন্দ সব কাজের দায়িত্ব বর্তায় জনপ্রতিনিধিদের ওপর। সেক্ষেত্রে নগরীতে সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো যে কাজই করুক না কেন তা অবশ্যই সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে অবগত করতে হবে। এ অবগত করা মানে হচ্ছে পারস্পরিক সমন্বয় সাধন।
সভা পরিচালনা করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক। বক্তব্য রাখেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহেফাজতের কমিটি বিলুপ্ত
পরবর্তী নিবন্ধসুজনের মেয়াদকালের লিজ নিয়ে তদন্ত করবে চসিক