১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষের প্রাণহানির পর তৎকালীন সরকার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাঁশখালী উপকূলে ৬টি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করে। তারমধ্যে অন্যতম ছিল গণ্ডামারা বাজার স্টিলের নির্মিত বেইলি ব্রিজটি। কিন্তু বর্তমানে এ বেইলি ব্রিজটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ব্রিজে নেই কোনো পাটাতন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হয়েছে এসব পাটাতন। আর কিছু রাতের আঁধারে একে একে খুলে নিয়ে যাচ্ছে লোকজন। স্থানীয়দের দাবি এ ব্রিজে স্টিল পাটাতনের স্থলে কাঠ বসিয়ে দিলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। কারণ তারা ব্রিজটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ঘুরে নতুন ব্রিজ দিয়ে পারাপার হচ্ছেন। তারা জানান, ১৯৯৫ সালে নির্মিত এ ব্রিজের উপর ভর করে গণ্ডামারায় উৎপাদিত হাজার হাজার মণ লবণ সড়কপথে পরিবহন করা হত। জলকদর খালের গণ্ডামারা মোহনায় ইঞ্জিন চালিত বোটের মাধ্যমে এখন লবণ সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। ২০১৩-১৪ সালের দিকে এসে এ স্টিল ব্রিজটি নড়বড়ে হয়ে পড়লে ব্রিজের কিছুদূর দক্ষিণে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। দিন দিন স্টিল ব্রিজটি নষ্টের দ্বারপ্রান্তে চলে গেলেও সংস্কারে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। ফলে গণ্ডারামা ও শীলকূপের কয়েকহাজার জনগণ বাধ্য হয়ে দূরবর্তী নতুন পাকা ব্রিজ দিয়ে চলাচলে বাধ্য হচ্ছে। গণ্ডামারা লবণ সমিতির উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি আবু আহমদ বলেন, একসময় এ এলাকার জনগণের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল এ বেইলি ব্রিজটি। কিন্তু পাটাতন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় জনগণ আর চলাচল করতে পারে না। তাই অনেক দূর ঘুরে যাতাযাত করতে হয়। অথচ এ ব্রিজের উপর কাঠ বসিয়ে দিলে সাধারণ জনগণ ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেত। এ ব্যাপারে গণ্ডামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: লেয়াকত আলী বলেন, ব্রিজের পাটাতন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা পাশের পাকা ব্রিজটি ব্যবহার করছেন। এ ব্রিজের পাটাতনের স্থানে কাঠ দিয়ে সংস্কার করে দিলে সাধারণ জনগণের চলাচলে সুবিধা হত।
বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী মো: আশরাফুল ইসলাম ভুইঁয়া বলেন, এ স্টিলের বেইলি ব্রিজগুলো ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এ অবস্থা হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে এটি হস্তান্তর করা না হলে আমরা কোনো ধরণের সংস্কার কাজ করতে পারব না।