প্রিয়তম, তোমার অপেক্ষায়…
নিঃসঙ্গ হৃদয় চাতক হয়ে কেঁদেছে,
শূন্যতায় ভেসে বেড়িয়েছে কাটা ঘুড়ির মতো,
নীদ্রাহীনতায় জেগে কেটেছে সহস্র রজনী,
নিয়তির ফাঁদে শব্দরা ভাষা হারিয়েছে
হয়েছে অচল বালির মরুভূমি।
প্রিয়তম, তোমার অপেক্ষায়…
কতশত সোনালী ভোর আলো হারিয়েছে,
দীর্ঘ দুই যুগ পেরিয়েছে জীর্ণ শীর্ণ রুক্ষতায়।
তোমার স্পর্শ বিহীন গোলকধাঁধায়
হৃদয়ে বয়ে গেছে আবেগের নদী,
তোমায় পাওয়ার অন্তিম আকাঙ্ক্ষায়
এ তনুপ্রাণ হয়েছে উত্তপ্ত চোরাবালি।
অবশেষে তুমি এলে…
এলে এক তারা ভরা রাতে
সমুদ্র নীলে ঝিনুকের গায়ে আলপনা এঁকে,
উজ্জ্বল আলোয় ভোরের কল্লোল হয়ে,
ফাল্গুনীর বাতাসে ঝাউয়ের শাখায় রুপোলি চাঁদ হয়ে।
প্রতিক্ষার দীর্ঘ হলুদ বিকেল শেষে
হৃদয়ের মাধবীলতা হয়ে,
অবশেষে তুমি এলে নির্জনতা ভেঙে
হৃদয় বালুচরে উত্তাল ঢেউ তুলে।
[বাবা আদম ও মা হাওয়ার মাধ্যমে পৃথিবীতে সর্বপ্রথম যে আত্মীয়তার বন্ধন সূচনা হয় তা স্বামী–স্ত্রীর সম্পর্ক এবং শেষ সম্পর্কও স্বামী স্ত্রী কেন্দ্রিক হয় কেননা একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে ছেলে মেয়ে সবাই যার যার সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যায়। জান্নাতেও স্বামী–স্ত্রীর সম্পর্ক অটুট থাকবে।
কোরআনে আল্লাহ বলেছেন -‘আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গীনিদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সমপ্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে-(সূরা : আল–রুম)। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে স্বামী–স্ত্রী নিয়ে যত আয়াত অবতীর্ণ করেছেন অন্য কোনো স্বজন নিয়ে এতো আয়াত নাজিল করেননি। পৃথিবীতে ওই সকল যুগলপ্রেমী স্বামী স্ত্রীর ওপর আল্লাহর অফুরন্ত রহমত থাকে যেখানে তাদের সম্পর্ক মধুর ও ভালোবাসা পূর্ণ হয়, একে অন্যের প্রতি হয় আন্তরিক, সহনশীল, নমনীয়, বিশ্বাসযোগ্য, উদার, সহযোগী মনোভাবাপন্ন, ক্ষমাশীল ও ধৈর্যশীল।]