বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা অবরোধে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে ‘বিএনপি–জামায়াতের গাড়ি’ ব্যবহারের জন্য সরকারের নিকট দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল শনিবার বিকেলে সুজন ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফিরে আসায় উত্তর কাট্টলীস্থ তার বাসভবনে নেতা–কর্মীরা শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
এ সময় সুজন বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা অবরোধে সারাদেশে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। ফলত বিএনপি ও জামায়াত চক্রটি এখন জনগণের উপর চড়াও হয়েছে। তারা ক্রমশ অসহিষ্ণু হয়ে সাধারণ জনগণের গাড়ি ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করছে। এরই প্রেক্ষিতে অবরোধ আহ্বানকারী বিএনপি ও জামায়াত মালিকানাধীন গাড়ি পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে ব্যবহারের জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান সুজন। তিনি আরো বলেন, আমরা জানি বিএনপি ও জামায়াত মালিকানাধীন অনেক গাড়ি রাস্তায় চলাচল করে এবং এসব মালিকরা বছরের পর বছর নির্বিঘ্নে গাড়ির ব্যবসা করে অনেক গাড়ি ও টাকা পয়সার মালিক হয়েছেন। এসব গাড়ির মালিকদের তথ্য সংগ্রহ করার অনুরোধ জানান সুজন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ এবং ব্যক্তিত্বের কারণে বিশ্বব্যাপী একজন সফল রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছেন। দেশের গন্ডি পেরিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখন বিশ্বনেত্রী। ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি সুষ্টু নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির জন্য যা যা প্রয়োজন তা করার নির্দেশনা দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু তারপরও বিএনপি ও জামায়াত চক্রটি আসন্ন নির্বাচন বানচালের মধ্য দিয়ে দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তাই দলের নেতা–কর্মীদের এসব অরাজকতার বিরুদ্ধে এখন থেকেই প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান সুজন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ, আলকরন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন তপন, আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান চৌধুরী, নুরুল কবির, মো. ইলিয়াছ, মোরশেদ আলম, মো. সেলিম, রেজাউল করিম ইরান, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, হাফেজ মো. ওকার উদ্দিন, অনির্বাণ দাশ বাবু, মো. শাহজাহান, সমীর মহাজন লিটন, জাইদুল ইসলাম দুর্লভ, সাইফুল্লাহ আনছারী, রাজীব হাসান রাজন, ফেরদৌস মাহমুদ আলমগীর, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম ইমরান আহাম্মেদ ইমু প্রমুখ।