পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ কৃত্রিম জলাশয় কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার শুরু হয়েছে। দীর্ঘ চার মাস ৭ দিন বিরতির পর হ্রদে মাছ শিকার শুরু হওয়ায় ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। গতকাল শনিবার পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদের মাছ অবতরণ ১ হাজার টন ছাড়িয়েছে। বিপরীতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে আনুমানিক ২ কোটি টাকা। কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদ থেকে আহরিত ৯৬৫ মেট্রিক টন মাছ বাজারজাতকরণের জন্য বিপণনকেন্দ্রের চারটি অবতরণঘাট বা পল্টুনে আনা হয়েছে। গতকালের খসড়া হিসাব অনুযায়ী মাছ অবতরণ ছাড়িয়েছে ১ হাজার মেট্রিক টন। অবতরণকৃত মাছ থেকে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) রাজস্ব বা শুল্কহার আদায় হয়েছে আনুমানিক দুই কোটি টাকা। গত রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া আজাদীকে জানান, শুক্রবার পর্যন্ত ৯৬৫ মেট্রিক টন মাছ আমাদের বিপণনকেন্দ্রের পল্টুনে অবতরণ হয়েছে। শনিবার তা এক হাজার মেট্রিক টন ছাড়িয়েছে। এর বিপরীতে আনুমানিক দুই কোটি টাকা শুল্কহার আদায় হয়েছে।
তিনি বলেন, এ বছর কাপ্তাই হ্রদ থেকে আমাদের মাছ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার মেট্রিক টন এবং শুল্কহার আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
প্রসঙ্গত, রাঙামাটির আট উপজেলা ও খাগড়াছড়ির দুই উপজেলা নিয়ে প্রায় ৭২৫ বর্গকিলোমিটার জুড়ে কাপ্তাই হ্রদের বিস্তৃতি। কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারে যুক্ত প্রায় ২৭ হাজার জেলে। কাপ্তাই হ্রদ থেকে আহরিত মাছ রাঙামাটির প্রধান বিপণনকেন্দ্রসহ জেলার কাপ্তাই, মারিশ্যা ও খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপকেন্দ্রে বাজারজাতকরণের জন্য অবতরণ করা হয়ে থাকে। এরপর শুল্কহার আদায় শেষে এসব মাছ বাজারজাত করা হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।