অফিসগামী যাত্রীদের দুর্ভোগ

লকডাউনে বন্ধ গণপরিবহন

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৯ জুন, ২০২১ at ৫:৩০ পূর্বাহ্ণ

সরকার ঘোষিত সীমিত পরিসরের তিনদিনের লকডাউনের গতকাল ছিল প্রথম দিন। প্রথমদিনের লকডাউনে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী যাত্রীরা। গণপরিবহন বন্ধ রেখে অফিস আদালত খোলা রাখায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এমন অভিযোগ যাত্রীদের। এ সময় অনেকে পাঁয়ে হেঁটে ও রিকশাযোগে কর্মস্থলে পৌঁছান। গতকাল নগরীর জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ মোড়, নিউ মার্কেট মোড়, ২ নং গেট মোড় এবং নগরীর প্রবেশপথ কাপ্তাই রাস্তার মাথা, অঙিজেন মোড়, সিটি গেট ও নতুন ব্রিজ এলাকায় সকাল থেকে মানুষের জটলা লক্ষ্য করা গেছে।
অঙিজেন মোড় এলাকায় কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী জিয়াউদ্দিন সুমনের সাথে। সরকার অফিস খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। এখন আমাদের তো চাকরি করতে হয়। দীর্ঘ পৌনে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো পরিবহন না পেয়ে রিকশায় করে মুরাদপুরের কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। যত সমস্যা আমাদের মতো মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের।
২ নং গেট মোড়ে গৃহিনী জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মা ও শিশু হাসপাতালে আমার এক স্বজন ভর্তি আছেন। আগ্রাবাদের যাওয়ার জন্য কোনো গাড়ি পাচ্ছি না। রিকসা ২৫০ টাকা ভাড়া দাবি করছে। আমি মহিলা মানুষ চাইলে তো হেঁটে যেতে পারি না। এটা কোন ধরণের লকডাউন বুঝতে পারছি না। রাস্তায় দেখি শুধু সিএনজি আর বাস চলতেছে না। আর সব চলছে।
বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন ওয়াসা মোড়ে অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছিলেন গণপরিবহনের জন্য। তিনি জানতেন না সরকার গতকাল থেকে গণপরিবহন বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন। এক পর্যায়ে রাইড শেয়ারিং বাইকে করে দ্বিগুণ ভাড়া গুণে কর্মস্থলের পথ ধরেন।
একাধিক অফিসগামী যাত্রী অভিযোগ করেন, গণপরিবহন না চললেও আমাদের তো অফিস ছুটি দিবে না। অনেকে আছেন বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসে অফিস করেন। শহরে থাকার জায়গা নেই। তাদের কষ্ট তো আরো বেশি। অফিস আদালত খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ রেখে সরকার কাজটা ঠিক করেনি।
গতকাল সকালে নতুন ব্রিজ এলাকায় এলাকায় দেখা গেছে, অনেকে ট্রাক ও মিনি পিকআপে করে শহরে আসেন। এদের বেশিরভাগই চাকরিজীবী এবং বিভিন্ন পেশাজীবী। এদের একজন পটিয়ার এম এম ইলিয়াছ উদ্দিন। তিনি জানান, লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও আমাদের চাকরি তো আর বন্ধ নেই। তাই বাধ্য হয়ে যেভাবে পেরেছি, সেভাবেই চাকরিতে আসতে হয়েছে। খোলা মিনি পিকআপে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শহরে আসতে হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকেমন হবে কঠোর বিধিনিষেধ
পরবর্তী নিবন্ধএক দিনে রেকর্ড ৮,৩৬৪ শনাক্ত