দুর্ঘটনা রোধে রাস্তায় তৈরি করা হয় স্পিড ব্রেকার বা গতিরোধক। এসব গতিরোধক স্থাপন করা হয় দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায়। কিন্তু সন্দ্বীপের প্রধান রাস্তা ও অলিগলিতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য স্পিড ব্রেকার। এসব স্পিড ব্রেকার দুর্ঘটনা রোধের বদলে দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণত সড়ক–মহাসড়কে এভাবে স্পিড ব্রেকার দেওয়ার বিধান নেই। দিক নির্দেশক চিহ্ন এবং পথচারী পারাপারের জেব্রা ক্রসিংয়ের বাইরে সড়কে থাকতে পারে শুধু র্যাম্বেল স্ট্রেট (আধা ইঞ্চি উঁচু বিট এক সঙ্গে ছয় থেকে আটটি)। অথচ বিপজ্জনক স্পিড বেকারগুলো বসিয়ে শুধু গাড়ির ক্ষতিই করা হচ্ছে না, দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে কয়েকগুণ। সড়কের পাশে ৫–৭টি দোকান থাকলেই তার দু’প্রান্তে বসিয়ে দেয়া হয়েছে দুটি স্পিড ব্রেকার। সাধারণত সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে স্পিড ব্রেকার দেওয়া হয়। কিন্তু সন্দ্বীপের কোনো কোনো স্থানে অপরিকল্পিতভাবে স্পিড ব্রেকার তৈরি করায় যাত্রী ও চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্যক্তি উদ্যোগে স্পিড ব্রেকার তৈরি করায় উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে। স্পিড ব্রেকারগুলোর আগে পরে নেই কোনো প্রতিকী চিহ্ন, লেখা নেই কোনো সতর্কবানী। এমনকি রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়নি ওই স্পিড ব্রেকারগুলো। হাইওয়ে রোডের পাশে প্রাইমারী স্কুল অথবা হাসপাতাল থাকলে স্পীড ব্রেকার দেয়া যেতে পারে। তাই বলে যত্রতত্র স্পীড ব্রেকার কতখানি যুক্তি সঙ্গত।
শরীফ হাসান
সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম।