এ জীবনে অনেকেই অপ্রয়োজনীয় ছটফটানি করি। এটা মনের একটা বড় রোগ। নিজেকে এত বেশী কল্পবৃক্ষ সাধক মনে করি যে, যেন সবকিছুর স্বাদ পাচ্ছি। আর এত বেশী পরমানন্দ থাকি যে, নিজেদের মধ্যে অনুরোড়ন কিছু একটা সৃষ্টি করে ফেলছি মনে করি। যা কিছু করি তাই দারুণ সৃষ্টিশীল ও মননশীল এবং নানান কিছু যেন। এসব তো নাম, দাম, খ্যাতি সর্বোপরি আরো অনেক কিছুর জন্য হতেও পারে।
এধরনের জীবন মাত্রায় চলার কোন অর্থই হয় না। জীবন তো চলবে সুখে-দুঃখে আপন গতিতে। সেটা যিনি মানতে রাজি একমাত্র তাঁরাই চলবেন রাজার মতো। আর যিনি মানতে রাজি নন, তিনি আমাকে ‘বেকুব’ বলবেন নিশ্চিত। বেকুব বলার আগে লেখাটা প্রথম থেকে শেষ অবদি আরেকবার পড়ুন। পড়ে এবার বলবেন হয়ত ‘বেবুঝ’। এরপর আবার পড়ুন। তারপর বলবেন হয়ত, কিছুই তো বুঝি নাই। আমি বলব, এখন ঠিক আছে। সত্যি তো যারা বেশি বুঝি আমরা পরিবারের ও সমাজের জন্য একটা বোঝা। কারণ বেশী কিছু করতে গিয়ে আমরা বেশি অর্থহীন কাজ করে বেড়াই। যা কিনা নিজের ও অন্যের ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই নয়। এই চলায় অন্যকে কিছুই দিতে পারি না, দুঃখ ছাড়া। তবে সবার ক্ষেত্রে নয়। তাই বলি, সবকিছুতেই অপ্রয়োজনীয় ছটফটানি না করাই ভালো।