খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থীর নিঃশর্ত মুক্তি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রাম–খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করেছে চবির শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চবির এক নম্বর গেইট এলাকায় এই সড়ক অবরোধ করেন তারা।
এর আগে দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে এক নম্বর ফটক পর্যন্ত পদযাত্রা করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় সড়কের উভয়পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এ অবরোধ শেষ হয় শিক্ষার্থীদের। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীকে মুক্তি না দিলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
অপহৃতরা হলেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রিশন চাকমা ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো। তারা সবাই ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
আন্দোলনে অংশ নেয়া চবি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শাফকাত বলেন, আজ সাতদিন হয়ে গেলেও অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীর এখনো কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশের পাহাড় কিংবা সমতলে কোথাও এ ধরনের ঘটনা মেনে নেয়া হবে না। অপহৃতদের মুক্তির বিষয়ে সরকারকে আরো কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। আমরা দ্রুত অক্ষত অবস্থায় তাদের মুক্তি চাই।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, এতদিনেও চবির ৫ শিক্ষার্থীর এখনো মুক্তি মেলেনি। যৌথবাহিনী তাদের কোনো সন্ধান শনাক্ত করতে পারেনি। এটি সরকারের ব্যর্থতা। আমরা অতি শিগগির আমাদের ভাই–বোনদের মুক্তি চাই। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের মুক্তি না দিলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাথে পুরো দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিব।
জানা গেছে, গত বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে চবির পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের এক সপ্তাহ পার হলেও এখনও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।