মাহবুব আলমের ইজিবাইকটি ভাড়ায় চালাতো মো. গিয়াসউদ্দিন। এক সময় ইজিবাইকটি চুরির মতলব আঁটে সে ও তার সঙ্গীরা। নাটক সাজায় অপহরণের। তাকে অপহরণ করে ইজিবাইকটি নিয়ে গেছে অপহরণকারীরা, এ নাটকের অংশ হিসেবে নিজের মোবাইল ফোন থেকে ফোন করে গিয়াস তার স্ত্রী থেকে এক লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু এত কিছু করেও শেষ রক্ষা হয়নি। র্যাব-৭ এর অভিযানে ফাঁস হয়ে যায় অপহরণ নাটক। ধরা পড়ে গিয়াসউদ্দিন ও তার তিন সহযোগী। উদ্ধার করা হয় চুরি করা ইজিবাইকটি। আটককৃতরা হল, সীতাকুণ্ডের খাদেমপাড়া এলাকার মো. নুর আলমের ছেলে ইজিবাইক চালক মো. গিয়াসউদ্দিন, সুনামগঞ্জ সদর থানার কাচাষোলঘর এলাকার আব্দুস সোবহান মাস্টারের ছেলে মঈনুল ইসলাম, বরগুনার পাথরঘাটা থানার আমড়াতলার মো. আলতাফের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন ও নোয়াখালীর হাতিয়ার ছপাটিয়ার নবীউল হকের ছেলে বাবুল উদ্দিন। র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. মাহ্মুদুল হাসান মামুন আজাদীকে বলেন, গত ২২ নভেম্বর পতেঙ্গার বাসিন্দা ইজিবাইক মালিক মাহবুব আলম র্যাব অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, তার ইজিবাইকটি দীর্ঘদিন ধরে চালক মো. গিয়াসউদ্দিন ভাড়ায় চালাতো। ২১ নভেম্বর প্রতিদিনের মতো ইজিবাইকটি চালানোর জন্য নিয়ে গেলেও তা আর গ্যারেজে ফেরত দেয়নি। পরে তার নম্বর থেকে ইজিবাইকের মালিক মাহবুব ও চালক গিয়াসের স্ত্রীর কাছে সে অপহৃত হয়েছে বলে জানানো হয়। তাদের থেকে একলাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
অভিযোগ পেয়ে র্যাব প্রযুক্তির সহায়তায় মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে জানতে পারে যে, অপহরণকারীরা পতেঙ্গা এলাকায় অবস্থান করছে। পরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে পতেঙ্গার নাজিরপাড়ার ডিনাইন রোড থেকে গিয়াসসহ চারজনকে আটক করে। এরপর র্যাব জানতে পারে গিয়াস অপহরণ হয়নি। সে ইজিবাইক চুরি করে তা বিক্রি করে দিয়েছে। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য চার বন্ধু মিলে অপহরণ নাটক সাজিয়েছে। আটক চারজনকে পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।