বান্দরবানে অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৯ জনকে অস্ত্রসহ আটক করেছে সেনাবাহিনী। গত বৃহস্পতিবার রাতে টংকাবতী পুনর্বাসন পাড়া থেকে আটক করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, লামা–সূয়ালক সড়কের টংকাবর্তী ইউনিয়নের পুনর্বাসন পাড়ায় সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ দল অভিযান চালায়। এসময় পাড়া থেকে অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে প্রথমে ১৫ জনকে আটক করে সেনাবাহিনী। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণ চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত ৯ জনকে আটক রেখে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আটককৃতরা হলেন– পুনর্বাসন কারবারি পাড়ার আনন্দ মোহন চাকমা (৭২), শান্তিরাম চাকমা (৩৩), চাথুই চাকমা (৩৫), শান্তিরঞ্জন চাকমা (৩৫), কল্পরঞ্জন চাকমা (২৪), জ্যোতি বিকাশ চাকমা (২৮), পাখিরাম ত্রিপুরা (৩১), ছথিয় ত্রিপুরা (৬০), জুয়েল ত্রিপুরা (২৬)। এদের মধ্যে কল্পরঞ্জন চাকমা জ্বলন্ত চাকমা হত্যা মামলার আসামি। আটকৃতরা পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে দাবি সংশ্লিষ্টদের। এদের কাছ থেকে ৫টি অস্ত্র, ইউনিফর্ম, অস্ত্রের গুলিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মানইয়ং ম্রো বলেন, পুনর্বাসন চাকমা পাড়ায় সেনাবাহিনী অভিযানে বেশ কয়েকজন আটক করেছে। সামপ্রতিক সময়ে লামা–সূয়ালক’সহ সরই ও টংকাবর্তী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অপহরণ চাঁদাবাজির ঘটনা বেড়ে গেছে। স্থানীয় একটি সশস্ত্র চক্র ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম জানান, পাহাড়ে অপহরণ চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রশস্ত্র’সহ ৯ জন’কে আটক করেছে। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।