চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ এলাকায় অপহরণকারীর বদ্ধ ঘর থেকে কৌশলে পালিয়ে আসা হুসাইফা জান্নাত হিমু (৬) কে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে বায়েজিদ থানা পুলিশ।
রবিবার (১১ আগস্ট) অপহরণের শিকার মেয়ে শিশুটিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে থানা সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গতকাল দৈনিক আজাদী অনলাইন মাধ্যমে পরিবারের সন্ধান চেয়ে ভিডিও প্রকাশ করা হলে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার হয়।
গতকাল খুবই ভয়ের মধ্যে ছিল মেয়েটি। সে সুনির্দিষ্টভাবে তার বাড়ির ঠিকানা বলতে না পারলেও তার নানুর বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় বলে জানায়। এবং তার বাবার নাম শামীম আর মার নাম কহিনুর আক্তার বলে জানিয়েছিল।
পরিবারের সন্ধান পেয়ে অপহরণের শিকার মেয়েটি ও পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং একে অপরকে জড়িয়ে ধরে।
গতকাল মেয়েটি বলেছিল আমাদের বাসার সামনে আমি আমার কয়েকজন বন্ধু বান্ধবী নিয়ে খেলা করছিলাম। হঠাৎ তার পিছনে লোক কতগুলা আসছে বলে আমার অন্যান্য বান্ধবীরা চলে যেতে শুরু করে, পরে পিছনের দিকে ফিরতেই কয়েকজন লোক আমার চোখে মুখ একটা কাপড় দিয়ে বেধে কোথায় নিয়ে যায়।
একটি গাড়িতে তুলছে এইটা আমি বুঝতে পারছিলাম। অনেক্ষণ পর একটি অন্ধকার ঘরে আমাদের রাখা হয়। সেখানে আগে থেকে আরো দুইজন মেয়ে ছিল তারাও আমার মতো।
মেয়ে দুইটা সেখানে কান্না করতেছিল। আমাকে নিয়ে ওরা ঘরটিতে ঢুকার পর ওদের কান্না বন্ধ করে ফেলে আর চোখের পানি মুছে ফেলতেছিল। আমাকে অন্ধকার ঘরে রেখে ঐ লোকগুলো চলে যায়। পরে বসে বসে আমি কান্না করছিলাম সেখানে থাকা মেয়ে দুইটা আমাকে কান্না না করতে বলে, তারা বলে কান্না করলে ওরা কিডনি কেটে ডাক্তারকে দিয়ে দিবে।
ঘরটিতে একটি টিনের দরজা ছিল সেখানে কয়েকটা ইট সরিয়ে দরজা ফাকা হলে সেখানে আগে থেকে আরো দুইজনসহ আমি পালিয়ে আসি।
গতকাল থানা সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছিল, টেক্সটাইল মোড়ে মেয়েটি কান্না করা অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা দুইজন শিক্ষার্থী।