মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন ও আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে–অন্যায়ের বিরুদ্ধে গান্ধীজীর অস্ত্র ছিল অসহযোগ ও শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ। তিনি অহিংস ও সত্যাগ্রহ আন্দোলনের দ্বারা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে পরাজিত করতে সমর্থ হয়েছিলেন। তার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতি অঙ্গীকার এই যুগেও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়–ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কারণে বেশ কবার দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতে কারাবরণ করেন মহাত্মা গান্ধী। তবে সব পরিস্থিতিতে তিনি অহিংস মতবাদ ও সত্যের ব্যাপারে অটল ছিলেন। সাধারণ জীবনযাপন করা এই রাজনীতিবিদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আশ্রম। ১৯২১ ও ১৯২৫ সালে দুই বার অহিংসের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন চট্টগ্রামে। ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রণী ভূমিকায় অভিভূত হয়ে লিখেছিলেন-‘সবার আগে চট্টগ্রাম’। প্রায় ৪ মাস নোয়াখালীতে অবস্থানকালে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন অহিংসার বাণী, যা তখন সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ় করেছিল। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।